ঢাকাকে বাঁচাতে বৃক্ষের বিকল্প দেখছেন না বিশেষজ্ঞরা (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১২:২৬, ১৫ জুলাই ২০২৩
বায়ূ দূষণে বাড়ছে অকাল মৃত্যু। ২০ শতাংশ অকাল মৃত্যুর কারণ বায়ু দূষণ। রাজধানীর মিরপুর, ধানমন্ডি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় গাছপালা বেশি থাকায় দূষণের মাত্রা কম। একটি পূর্ণাঙ্গ বৃক্ষ ১৮ জন মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেন উৎপাদন করে। সেইসঙ্গে তাপ নিয়ন্ত্রণ ও পরিবেশে ছড়ানো বিষাক্ত কার্বন পরিশোধন করে বৃক্ষ। তাই ঢাকাকে বাঁচাতে বৃক্ষের বিকল্প দেখছেন না বিশেষজ্ঞরা।
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের লেক। জলাধারের চারপাশে সবুজ বৃক্ষরাজি। ভোরের আলো ফোঁটার সাথে সাথে স্বাস্থ্য সচেতন নগরবাসীর প্রাতভ্রমণ।
ঢাকার অন্য এলাকার তুলনায় বড় আকৃতির বৃক্ষ থাকায় পাখির কলতানে মুখর এই এলাকা। অন্য এলাকার তুলনায় তাপমাত্রাও কিছুটা কম ও বায়ুর মানও ভাল।
৯০ দশকে ঢাকায় সবুজ অঞ্চল ছিল আয়তনের প্রায় ১৭ শতাংশ, জনসংখ্যা ৯৮ লাখ। বর্তমানে জনসংখ্যা দ্বিগুন। যেসব এলাকাকে বনভূমি বলা যায়, সেরকম এলাকার পরিমাণ ১৭ শতাংশ থেকে কমে এখন ২ শতাংশে নেমে এসেছে। আর এই ২ শতাংশ বনভূমি ধরনের এলাকার ৭০ শতাংশই মিরপুর ও এর আশেপাশের এলাকায়।
অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা মারুফ আল ফারুক বলেন, “গাছপালার স্পেস ছিল অনেক বেশি, জলাশয় ছিল। এখন সেগুলো অনেক কমে গেছে।”
বোটানিক্যাল গার্ডেন, বলধা গার্ডেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়, শেরেবাংলানগর ও রমনা এলাকায় পর্যাপ্ত গাছ থাকলেও বাকি এলাকা ইট পাথরের ইমারত। নগরবাসীরা বলছেন, মানুষের প্রয়োজনেই বৃক্ষ সংরক্ষণ করতে হবে।
সমন্বিত উদ্যোগ না থাকায় বৃক্ষের সংখ্যা কমছে বলে মনে করছেন এই কর্মকর্তা।
নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, “নগরের সকল উন্নয়ন, সবুজায়ন এবং বৃক্ষরোপণে একটি পরিপূর্ণ বিধিমালা থাকা দরকার। অন্যান্য যে আইনগুলো রয়েছে সেগুলোর পরিসেবা নিশ্চিতের পাশাপাশি সবুজকে অক্ষুণ্ন রাখার জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে যেন সকল উন্নয়ন করা হয় এটিও আমাদের জোড় দাবি। আসলে ছাদ বাগান থেকে অঙ্গন বাগান, অঙ্গন বাগান থেকে সড়ক বাগান, সড়ক বাগান থেকে আরবান ফরেস্টের ধারাবাহিকতায় সবুজায়নের মাধ্যমে এই নগরকে সুরক্ষিত করতেই হবে।”
রাজধানীর সড়কের ডিভাইডার, উন্মুক্ত স্থানসহ সরকারি জায়গায় গাছ লাগানোর পাশাপাশি নগরবাসীকে ছাদ বাগানে উৎসাহী করতে পারলে পরিবেশ বান্ধব শহর গড়ে তোলা সম্ভব বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এএইচ
আরও পড়ুন