ঢাকায় সিপিএ সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন আজ
প্রকাশিত : ১০:৫৫, ৫ নভেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ১১:০৫, ৫ নভেম্বর ২০১৭
কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশনের (সিপিএ) ৬৩তম সম্মেলনের উদ্বোধন হচ্ছে আজ বোববার। আজ সকালে প্রধানমন্ত্রী ও সিপিএ’র ভাইস প্যাট্রন শেখ হাসিনা ৬৩তম কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি কনফারেন্স (সিপিসি) ২০১৭’র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন।
সম্মেলনের উদ্বোধন সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত হলেও এর বিভিন্ন সেশনগুলো অনুষ্ঠিত হবে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি)।
এবারের সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, কনটিনিউনিং টু এনহ্যান্স দ্য হাই স্ট্যান্ডার্ড অব পারফরমেন্স অব পার্লামেন্টারিয়ানস।
এই সম্মেলনের মাধ্যমে সংস্থাটির বর্তমান চেয়ারপারসন ও স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর মেয়াদ শেষ হবে। আগামী ৭ নভেম্বর সিপিএর নতুন চেয়ারপাসন নির্বাচন করা হবে।
সংসদ সচিবালয়ের সূত্র থেকে জানা যায় সিপিএ সম্মেলনে কমনওয়েলথভুক্ত ৫২টি দেশের মধ্যে ৪৪টি দেশের প্রতিনিধিরা সম্মেলনে অংশ নিবেন । এসব দেশের জাতীয় ও প্রাদেশিক সংসদের সমন্বয়ে গঠিত ১৮০টি ব্রাঞ্চের মধ্যে ১১০টি ব্রাঞ্চের স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারসহ ৫ শতাধিক পার্লামেন্ট সদস্য অংশ নিচ্ছেন। এরইমধ্যে প্রতিনিধিদের বড় অংশ ঢাকায় পৌঁছেছেন।
সম্মেলনে রোহিঙ্গা ইস্যুকে গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ। এর অংশ হিসেবে উদ্বোধনের পরপরই বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে ৪টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলেন কেন্দ্রের হল অব ফেমে রোহিঙ্গা সংকট ও সমাধানের উপায় নিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে বক্তব্য উত্থাপন করবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এইচ এম মাহমুদ আলী। এর মাধ্যমে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করা হবে।
এছাড়া সিপিএর নির্বাহী কমিটির আটটি সেমিনারে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যে কেউ বিষয়টি উত্থাপন করতে পারেন বলে একাধিকবার জানিয়েছেন সিপিএ চেয়ারপারসন ও বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
এর আগে গত ১ নভেম্বর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত হোটেল রেডিসনে সিপিএ-এর নির্বাহী কমিটির বৈঠক ও সিপিএ ব্রাঞ্চের সম্মেলনসহ বেশ কয়েকটি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামী ৮ নভেম্বর শেষ হবে এই সম্মেলন।
দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত সিপিএ সম্মেলনটি সুন্দরভাবে অনুষ্ঠানের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে এ বছরের মার্চে অনুষ্ঠিত ইন্টার পাল্টামেন্টারিয়ান ইউনিয়নের (আইপিইউ) সম্মেলনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাচ্ছে আয়োজক প্রতিষ্ঠান দু’টি। সংসদ ভবনসহ ঢাকাকে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে। সংসদ ভবনের দক্ষিণে অবস্থিত সবুজ মাঠে নির্মাণ করা হয়েছে বিশাল মঞ্চ। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার রঙে আলোকিত করা হয়েছে উঠেছে পুরো সংসদ ভবন। সংসদ ভবন ও তার আশপাশের রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে আলোকসজ্জা করা হয়েছে। ডিজিটাল ব্যানারে ছাপিয়ে গেছে সম্মেলন স্থলের আশপাশের এলাকা।
রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় অনুষ্ঠানের উদ্বোধনস্থলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৌঁছানোর পরপরই বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হবে। এরপর পবিত্র ধর্মগ্রন্থগুলো থেকে পাঠের পর পরিবেশিত হবে উদ্বোধনী নৃত্য। এরপর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সভাপতি ও সিপিএ চেয়ারপারসন শিরীন শারমিন চৌধুরী স্বাগত বক্তব্য দেবেন।
এছাড়া সিপিএ’র প্যাট্রন ব্রিটেনের রানি এলিজাবেথের পাঠানো বার্তা পড়ে শোনানো হবে। এরপর জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর ৫ মিনিটের একটি ভিডিওচিত্র দেখানোর হবে। এরপর ‘সিম্পোনি অব ডেমোক্র্যাসি’ শিরোনামে পরিবেশিত হবে মঞ্চনৃত্য।
এ সময় আরও একাধিক ভিডিওচিত্র ও নৃত্য পরিবেশন করা হবে। বেলা ১২টায় বক্তব্য দেবেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর তিনি সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করবেন। সিপিএ সম্মেলন উপলক্ষে একটি ডাকটিকিটও এ সময় অবমুক্ত করা হবে।
/ এম / এআর
আরও পড়ুন