ঢাবিতে চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ৩
প্রকাশিত : ১৭:৫৬, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | আপডেট: ২০:২৫, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলে চোর সন্দেহে পিটিয়ে তোফাজ্জল নামে এক ‘ভারসাম্যহীন’ যুবক হত্যার ঘটনায় ঢাবির তিন শিক্ষার্থীকে হেফাজতে নিয়েছে শাহবাগ থানা পুলিশ। জানা গেছে, ঢাবি কর্তৃপক্ষ তাদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আসাদুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ঢাবির ফজলুল হক মুসলিম হলে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়টির তিন শিক্ষার্থীকে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান. আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদে এ ঘটনায় তাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে গ্রেপ্তার দেখানো হবে।
জানা গেছে, নিহত ব্যক্তির নাম তোফাজ্জল। তার বাড়ি বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার কাঁঠাল তলি ইউনিয়নে। তার বাবা-মা কেউ বেঁচে নেই।
এর আগে আজ বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) শাহবাগ থানায় মামলার আবেদন করে এজাহার দায়ের করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরে আবেদনটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়।
উল্লেখ্য,গতকাল বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ৮টার দিকে চোর সন্দেহে তোফাজ্জলকে আটক করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফজলুল হক হলের শিক্ষার্থীরা। পরে আনুমানিক রাত ১২টার দিকে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে রাত ২টার দিকে তার মৃত্যুর খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। নেটিজেনদের মাঝে প্রবল প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ শুরু হয়।
নিহত তোফাজ্জল মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় ছিলেন। একটি ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, ফজলুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপসম্পাদক জালাল আহমেদসহ হলের ৮-১০ জন শিক্ষার্থী তোফাজ্জলকে মারধর করছেন।
ভোর সাড়ে ৪টায় প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজে যান। সেখান থেকে পরে হল প্রাঙ্গণে এসে হলের পুরাতন ভবনের গেস্টরুম ও এক্সেসটেনশনের গেস্টরুম ঘুরে দেখেন। এই দুটি গেস্টরুমেই তোফাজ্জলকে মারা হয়। এসময় তিনি দুটি রুম সিলগালা করে দেন।
এসএস//
আরও পড়ুন