ঢাবিতে নিপীড়নবিরোধী শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিতে হামলা
প্রকাশিত : ১৪:৪১, ১৫ জুলাই ২০১৮
কোটা সংস্কারের পক্ষের শিক্ষার্থীদের নিপীড়ন-নির্যাতন-গ্রেফতারের প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিপীড়নবিরোধী কর্মসূচিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সেই সঙ্গে কর্মসূচি শেষে ফেরার পথে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা এবং শিক্ষকদের লাঞ্চিত করারও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আজ রোবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে শিববাড়ি মোড়ে শেখ রাসেল টাওয়ারের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনে গ্রেফতার শিক্ষার্থীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিঃশর্ত মুক্তি, ক্যাম্পাসে হামলাকারীদের গ্রেফতার ও নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে আজ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় কর্মসূচি দিয়েছিলেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুযায়ী আজ রোববার দুপুর সোয়া ১২টায় শহীদ মিনারে অবস্থান নেন নিপীড়নবিরোধী শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। পাশাপাশি অবস্থান নেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরাও।
ছাত্রলীগের এই নেতা-কর্মীদের মধ্যে ইডেন ও বদরুন্নেসা কলেজের শিক্ষার্থীরাও ছিলেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য।
একপর্যায়ে ‘পাকিস্তানি রাজাকার শিক্ষকদের বহিষ্কার করতে হবে’, ‘শিক্ষকেরা জামায়াত-শিবিরের দোসর’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন ছাত্রলীগের কর্মীরা। শিক্ষকদের গালাগালি ও মাইক বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগও পাওয়া যায়। হেনস্তার শিকার হয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনারের সামনে থেকে সরে যেতে বাধ্য হন। সেখান থেকে সরে তাঁরা মিছিল বের করেন।
মিছিলটি আইন অনুষদের দিকে গিয়ে দাঁড়ালে ছাত্রলীগের কর্মীরা মিছিলে ঢুকে যান। তাঁরা ছাত্রীদের মারধর করেন। শিক্ষকদের গালিগালাজ করতে থাকেন। ছাত্রলীগের বাধা ও হামলার মুখে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়। শিক্ষক ও ছাত্রদের একাংশ আবার শহীদ মিনারে অবস্থান নেন।
কর্মসূচিতে শিক্ষকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তানজীম উদ্দীন খান, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ফাহমিদুল হক, আবদুর রাজ্জাক প্রমুখ।
এ বিষয়ে ঢাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ফাহমিদুল হক বলেন, মানববন্ধনের শেষ পর্যায়ে সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা আমাদের ঘিরে ফেলে। পরে আমরা রাজু ভাস্কর্যের দিকে যাওয়ার পথে শিববাড়ি মোড়ে শেখ রাসেল টাওয়ারের সামনে তারা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় এবং আমাদেরকে লাঞ্ছিত করে।
হামলার ঘটনার পর ঘটনাস্থলে প্রক্টরিয়াল বডির লোকজন এসে বহিরাগতদের চলে যেতে মাইকিং করে।
/ এআর /
আরও পড়ুন