ঢাবির ‘ক’ ইউনিটের ফলাফল স্থগিত
প্রকাশিত : ০৮:২১, ২১ অক্টোবর ২০১৯ | আপডেট: ০৯:০৭, ২১ অক্টোবর ২০১৯
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষে বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ক’ ইউনিটের ১ম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল কারিগরী ক্রটির কারণে স্থগিত করা হয়েছে।
প্রশ্নপত্রের একটি সেটের এমসিকিউ অংশের উত্তরপত্র মূল্যায়নে ভুল পরিলক্ষিত হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। রোববার রাতে ‘ক’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষার প্রধান সমন্বয়কারী ও বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক তোফায়েল আহমদ চৌধুরী সাক্ষরিত এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপিতে আরও বলা হয়, ‘ক’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় সমন্বয়কারী ও যুগ্ম সমন্বয়ারীদের সভার সিন্ধান্ত মোতাবেক উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনা করে ঘোষিত ফলাফল স্থগিত করা হলো। সংশোধিত ফলাফল দ্রুততম সময়ে প্রকাশ করা হবে।
এ বিষয়ে তোফায়েল আহমদ চৌধুরী বলেন, নতুন করে যাচাই হলে আরও কিছু শিক্ষার্থী পাস করতে পারে। ভুল সংশোধন হলে কারও মেধাক্রম উপরে এলে আসবে। তার ন্যায্যটা সে পাবে। আমাদের প্রোগ্রামের কারণে যদি কোনও ভুল হয়ে থাকে, তাহলে প্রোগ্রাম সংশোধন করলে সবার ফলাফল স্বয়ংক্রিয়ভাবে ঠিক হয়ে যাবে।
ভর্তিচ্ছুদের অভিযোগ, ভর্তি পরীক্ষার চারটি অংশের মধ্যে গণিত অংশে সঠিক উত্তরকে ভুল হিসেবে গণনা করা হয়েছে। এতে বেশির ভাগ শিক্ষার্থী মেধাতালিকায় পিছিয়ে পড়েছেন। অনেকে আবার উত্তীর্ণই হতে পারেননি।
অভিযোগকারী এক শিক্ষার্থীর ফল দেখা যায়, পদার্থে ১৪টি প্রশ্নের মধ্যে ১৩টি, রসায়ন অংশে ১৩টির মধ্যে ১১টি, জীববিজ্ঞানে ৪টির মধ্যে ৪টিরই সঠিক উত্তর দিয়েছেন। অথচ গণিত অংশে ১২টির মধ্যে ১১টিই ভুল উত্তর তার। ওই শিক্ষার্থীর দাবি, তিনি গণিতে ১টি মাত্র উত্তর ভুল দিয়েছেন। কিন্তু ফল প্রকাশের পর তার উল্টোটা দেখাচ্ছে।
এর আগে গতকাল রোববার সাড়ে ১২ টায় ‘ক’ ইউনিট ও চারুকলা অনুষদভুক্ত ‘চ’ ইউনিটের ১ম বর্ষ বিএফএ (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়।
স্থগিত ফলাফল অনুযায়ী, এবছর ‘ক’ ইউনিটে সমন্বিতভাবে পাসের হার মোট পরীক্ষার্থীর ১৩ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ।
ভর্তি পরীক্ষায় নৈর্ব্যক্তিক অংশে পাস করেছেন ২৫ হাজার ৯২৭ জন পরীক্ষার্থী। নৈর্ব্যক্তিক ও লিখিত অংশে সমন্বিতভাবে পাস করেছেন ১১ হাজার দুইশত সাতজন জন পরীক্ষার্থী।
এ বছর ‘ক’ ইউনিটের এক হাজার ৭৯৫টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছিল ৮৮ হাজার ৯৯৬ শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ৮৫ হাজার ৮৭৯ জন পরীক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেন।
অন্যদিকে, এ বছর ‘চ’ ইউনিটে পাসের হার মোট পরীক্ষার্থীর ২ দশমিক ৫ শতাংশ।
ভর্তি পরীক্ষায় সাধারণ জ্ঞান অংশে এক হাজার ৫১১ জন পরীক্ষার্থী পাস করেছেন। সাধারণ জ্ঞান ও অঙ্কন অংশে সমন্বিতভাবে পাশ করেছেন ৩৪৩ জন পরীক্ষার্থী।
এ বছর ‘চ’ ইউনিটে ১৩৫টি আসনের বিপরীতে আবেদনকারী ১৬ হাজার ২ জন ভর্তিচ্ছু আবেদন করেছিলেন। এর মধ্যে ১৩ হাজার ৭০৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেন।
আরও পড়ুন