ঢাকা, রবিবার   ০৯ মার্চ ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

তারেক রহমানের কারাবন্দি দিবস আজ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৪১, ৭ মার্চ ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

আজ ০৭ মার্চ, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১৯তম কারাবন্দি দিবস। বাংলাদেশ বিরোধী দেশি-বিদেশি চক্রান্তের অংশ হিসেবে ২০০৭ সালের ৭ই মার্চ ভোররাতে অবৈধ এক-এগারো সরকার কর্তৃক বিনা ওয়ারেন্টে ঢাকার বাসভবন থেকে আটক করা হয় তারেক রহমানকে। যা ছিল সামগ্রিকভাবে এদেশের ১৮ কোটি মানুষের মুক্তির যে স্বপ্ন রাজনৈতিকভাবে, অর্থনৈতিকভাবে, সামাজিকভাবে, সেই স্বপ্নকে সেদিন বন্দি করা। 

পরবর্তীতে তার নামে ১৩ টি মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়ের করার পাশাপাশি ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে ডিটেনশনও দেয়া হয়। তাকে ছয় দফায় ১৩ দিনের রিমান্ডে নিয়ে অমানবিক শারীরিক নির্যাতনের পাশাপাশি মানসিক নির্যাতনও করা হয়। তারপরও দেশ ও রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার চাপ প্রয়োগ করা হয়। দেশ ও দেশের জনগণের কথা ভেবে কুশীলবদের কোনো প্রস্তাবেই রাজী হননি তিনি। ২০০৭ সালের ২৮ নভেম্বর আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে বিচারকের অনুমতি নিয়ে তারেক রহমান তার উপর করা অমানবিক নির্যাতনের বিবরণ তুলে ধরেন। 

সরকারের হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের নামে নির্যাতন ও যথোপযুক্ত সময়ে চিকিৎসা না হওয়ায় তারেক রহমানের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকলে ২০০৮ সালের ৩১ শে জানুয়ারি তাকে পিজি হাসপাতালের প্রিজন সেলে ভর্তি করা হয়। এরপর আদালতের চিকিৎসকদের দেয়া মেডিকেল রিপোর্টে বলা হয়, তারেক রহমানের স্পেশালাইজড অর্থোপেডিক ট্রিটমেন্টের প্রয়োজন। নির্যাতনে তার মেরুদণ্ডের ৬ ও ৭ নং হাড় ভেঙে গেছে। কয়েকটি হাড় বেঁকে গিয়েছে। মেরুদণ্ডের ৩৩ টি হাড়ের দূরত্ব কমে গিয়েছে। চোখে ও হৃদযন্ত্রের নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে। পরে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে পর্যায়ক্রমে তিনটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। মেডিকেল বোর্ডগুলোর পরামর্শ অনুযায়ী উন্নত চিকিৎসার জন্য তারেক রহমানকে বিদেশের অর্থোপেডিক, ফিজিওথেরাপি, কার্ডিওলজি ও রেডিওগ্রাফির সুবিধা সংবলিত যে কোনো হাসপাতালে অতি দ্রুত ভর্তি করার পরামর্শ দেওয়া হয়। 

এরপর তার স্বাস্থ্যের আরও অবনতি হতে থাকলে তার নিঃশর্ত মুক্তি লাভ ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিতে রাজপথে শুরু হয় আন্দোলন। এতে সরকারের টনক নড়ে এবং তারা তারেক রহমানকে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দিতে সম্মত হয়। কিন্তু আত্মপ্রত্যয়ী ও নির্ভীক তারেক রহমান নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে অনড় থাকেন এবং এক পর্যায়ে উচ্চ আদালত থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জামিনে মুক্তি লাভ করেন। ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর তিনি বিদেশ যাওয়ার সুযোগ পান। 

সেই থেকে তিনি লন্ডনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে কঠিন সময়েও তিনি দেশ ও দল থেকে বিচ্ছিন্ন হননি ক্ষণিকের জন্যও। হাজার মাইল দূর থেকেও তিনি নিয়মিত সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় রয়েছেন। গভীর রাত পর্যন্ত জেগে তিনি সংগঠনের শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলেন। ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে নেতাকর্মীদের একসূত্রে গেঁথে তিনি অভুতপুর্ব সাফল্য দেখান। তার দিক নির্দেশণায় ফ্যাসিস্ট হাসিনা বিরোধী আন্দোলন এদেশের গণ-মানুষের আন্দোলনে পরিণত হয়। যার প্রতিফলন ঘটেছে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট হাসিনার পলায়নের মাধ্যমে।

এসএস//
 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি