তিন কারণে পুঁজিবাজারের হঠাৎ উত্থান
প্রকাশিত : ১৫:০৭, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসের শুরুতেই পুঁজিবাজারে বড় উত্থান হয়েছে । দেশের দুই পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্রগ্রাম স্টক একচেঞ্জে এই উত্থান দেখা যায়।
সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন তিন কারণে পুঁজিবাজারে এই উত্থান হয়েছে। এর প্রথম করণ হচ্চে চীনা দুই কোম্পানি ডিএসইর কৌশলগত বিনিয়োগ করবে। দুই, রাজনৈতিক পরিস্থিতি শান্ত ছিল। তিন, দুই নিয়ন্ত্রক সংস্থার মধ্যে সমন্বয়ের বৈঠক হওয়ার আশ্বাস।
এ সময় দেখা যায়, লেনদেন শুরু হওয়ার পর থেকেই শেয়ার কেনার চাপে সূচক ঊর্ধ্বমুখী হয়, দিনশেষে ঊর্ধ্বমুখিতার মধ্য দিয়েই যার লেনদেন শেষ হয়েছে। দিনশেষে সূচক দাঁড়িয়েছে ৬০৯৩ পয়েন্ট। ডিএস-৩০ মূল্যসূচক ৩০ পয়েন্ট বেড়ে ২২৫৫ পয়েন্টে এবং ডিএসইএস শরিয়াহ সূচক ২২ পয়েন্ট বেড়ে ১৪১২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। লেনদেন হওয়া ৩৩৪ কম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৯৩টির, কমেছে ২৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৪টির।
লেনদেনের ভিত্তিতে শীর্ষে রয়েছে লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, স্কয়ার ফার্মা, মুন্নু সিরামিকস, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, ফার্মা এইড, আলিফ ইন্ডাস্ট্রি, কেয়া কসমেটিকস, গ্রামীণফোন ও সিটি ব্যাংক। মূল্য বৃদ্ধির শীর্ষে রয়েছে মিরাকেল ইন্ডাস্ট্রি, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, ফাইন ফুডস, সেন্ট্রাল ফার্মা, অগ্নি সিস্টেম, মেট্রো স্পিনিং, দেশবন্ধু পলিমার, গ্রীন ডেল্টা ইনস্যুরেন্স, দেশ গার্মেন্ট ও ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড। অন্যদিকে দাম কমার শীর্ষে রয়েছে এশিয়া ইনস্যুরেন্স, ইমাম বাটন, উসমানিয়া গ্লাস, দুলামিয়া কটন, মুন্নু সিরামিকস, ইস্টার্ন ইনস্যুরেন্স, মেঘনা পেট, ফারইস্ট ফাইন্যান্স, লিব্রা ইনফিউশন ও আলিফ ইন্ডাস্ট্রি।
ডিএসইর পরিচালক রকিবুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘চীনা দুই স্টক এক্সচেঞ্জের কনসোর্টিয়ামের বিনিয়োগের খবরে সূচক বেড়েছে। ৮ জানুয়ারি রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা হতে পারে—এমন তথ্যে অনেকে শেয়ার বিক্রি করেছে। তবে সেটি না হওয়ায় আবারও ঊর্ধ্বমুখিতায় ফিরেছে বাজার। বিনিয়োগকারী প্যানিক থেকে শেয়ার বিক্রি করে নিজেই ঠকেছে। যে দামে শেয়ার বিক্রি করেছে, তার চেয়ে বেশি দামেই শেয়ার কিনতে হচ্ছে।’
তিনি আরো বলেন, শেয়ারবাজারে স্বল্প মেয়াদে মুনাফার কোনো সুযোগ নেই। দীর্ঘ মেয়াদে যাদের উদ্বৃত্ত টাকা তাদেরই বিনিয়োগ করতে হবে। ধার করে কিংবা জমি বন্ধক রেখে পুঁজিবাজারে আসার দরকার নেই। বিনিয়োগযোগ্য ১০০ টাকা থাকলে ৬০ টাকা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে হবে। আর বাকি ৪০ টাকা অন্য খাতে রাখতে হবে। তাহলেই লোকসান হওয়ার কিংবা পুঁজি হারানোর আশঙ্কা থাকবে না। এ জন্য সচেতনভাবেই বিনিয়োগের পরামর্শ দেন তিনি।
এমএইচ/ এআর
আরও পড়ুন