ঢাকা, মঙ্গলবার   ২২ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

তুঙ্গে জাতীয় পার্টির অভ্যন্তরিণ দ্বন্দ্ব (ভিডিও)

আতিক রহমান পূর্ণিয়া

প্রকাশিত : ১০:৫১, ১৪ জানুয়ারি ২০২৪

Ekushey Television Ltd.

জাতীয় পার্টির অভ্যন্তরিণ দ্বন্দ্ব এখন তুঙ্গে। একদিকে অব্যাহতি আর অন্যদিকে দলটির চেয়ারম্যান ও মহাসচিবের পদত্যাগের দাবিতে মুখোমুখি দুই পক্ষ। টাকার ভাগাভাগি নিয়ে এই দ্বন্দ্ব তীব্রতর হয়ে উঠছে। 

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৮৭ আসনে প্রার্থী দিয়েছিল জাতীয় পার্টি। এরমাঝে আওয়ামী লীগের সাথে সমঝোতা হয় ২৬ আসনে। এর মধ্যে মাত্র ৭টিতে জিতেছে জাতীয় পার্টি। ভোটের আগে এবং ভোটের দিন দলটির অনেকে আনুষ্ঠানিক এবং অনানুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান- হাই কমান্ডের সাথে মতবিরোধে জড়িয়ে।

সবমিলিয়ে ১১ আসনে জয়লাভ করে জাতীয় পার্টি।

নির্বাচনের পরপরই জাতীয় পার্টির বিক্ষুদ্ধ অংশটি দলের চেয়ারম্যান এবং মহাসচিবের পদত্যাগের দাবিতে কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঘেরাও করে। পাল্টা ব্যবস্থা হিসাবে জিএম কাদের এই বিক্ষোভের অন্যতম সমন্বয়ক কাজী ফিরোজ রশিদ এবং সুনীল শুভ রায়কে কো-চেয়ারম্যান এবং প্রেসিডিয়াম পদ থেকে অব্যাহতি দেন।

জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা বলেন, “কতো মানুষকে অব্যাহতি দেবে, চেয়ারম্যান তো একা দল করবেন না। অব্যাহতি দিতে হলে হাজার হাজার নেতাকে দিতে হবে, তারা দিতে পারলে দিক। কোনো সমস্যা নেই।”

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বিশেষ দূত মাশরুর মাওলা বলেন, “ফিরোজ রশীদের মতো একজন সিনিয়র মানুষ তিনি নিজেই নমিনেশন নিলেননা। সুনীল শুভ রায়েরও একই ঘটনা, বিদেশে যাওয়ার ব্যাপারে ওনার ইমিগ্রেশন প্রোসেস চলছে। ওনাদেরকে মোটিভেট করার জন্য পেছনে দু-তিন জন লোক আছেন।”

টাকা-পয়সার ভাগাভাগি নিয়ে এই বিরোধের বিষয়েও দুই পক্ষের দুই রকম মত।

সাহিদুর রহমান টেপা বলেন, “নমিনেশন ফর্ম বিক্রি করে প্রায় ৫ কোটি টাকার মতো দলের আয় হয়েছে। প্রত্যেক প্রার্থীকে যদি ২০-৩০ লাখ টাকা করে দেওয়া হতো তাহলে এই অভিযোগটা উঠতো না। কারণ ফান্ডটা পার্টির স্বার্থেই ব্যবহার করা যেতো। এজন্য নেতাকর্মী বিক্ষুব্ধ।”

মাশরুর মাওলা বলেন, “মনোনয়ন ফর্ম কিনেছেন নির্বাচন করার জন্য, পার্টির বোর্ডের কাছ থেকে টাকা নিতে হবে কেন? তাহলে এতো দিন কি রাজনীতি করলেন, কিসের নেতা আপনি। টাকা দিয়ে আপনাকে এমপি বানাতে হবে জাতীয় পার্টির এমন ঠেকা পড়েনি। ফর্ম বিক্রি করে দলের ফান্ড তৈরি হয়েছে, এটা তো চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত কিছু নয়।”

দলটির আরও কয়েকটি পদে পরিবর্তন আসতে পারে বলে জানিয়েছেন নেতারা। তবে এবারের দ্বন্দ্বে দলে বড় কোনও ভাঙ্গনের আশংকা নাই বলে দাবি করেন দুই পক্ষের নেতারাই।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি