তৈরি পোশাকে ভর করে রপ্তানিতে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১২:২৪, ৫ জুলাই ২০২৩
তৈরি পোশাকের উপর ভর করে রপ্তানিতে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে বাংলাদেশ। পাশাপাশি বেড়েছে রেমিটেন্স প্রবাহও। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের এই প্রধান দুই খাতের ইতিবাচক অর্জনে ডলার সংকট অনেকটাই কমেছে বলে মত অর্থনীতিবিদের।
ডলার সংকটে চাপে দেশের অর্থনীতি। এমন পরিস্থিতিতে সদ্য সমাপ্ত ২০২২-২৩ অর্থবছরে পণ্য রপ্তানি হয়েছে ৫ হাজার ৫৫৬ কোটি ডলার, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ বেশি। পাশাপাশি রেমিটেন্স এসেছে ২ হাজার ১৬১ কোটি ডলার, যা আগের অর্থবছরের চেয়ে প্রায় তিন শতাংশ বেশি।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো ইপিবি বলছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরের রপ্তানি আয়ের ৮৪ শতাংশই এসেছে তৈরি পোশাক থেকে, যা আগের অর্থবছরে ছিল ৮১ দশমিক ৮১ শতাংশ। ফলে চামড়া, পাট, হোমটেক্সটাইল এবং কৃষিজাত পণ্যের রপ্তানি কমলেও সামগ্রিক রপ্তানি ইতিবাচক।
ইপিবি ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান বলেন, “পুরো বছরেই রপ্তানি ক্ষেত্রে বেশকিছু অনিশ্চয়তা ছিল। কোনো কোনো মাসে ভালো রপ্তানি হয়েছে, কখনও নেগেটিভ ছিল। তবে বছরের শেষে আমরা ইতিবাচক ধারায় ফিরতে পেরেছি।”
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বিশ্ব মন্দার মাঝেও তৈরি পোশাক খাত আশার আলো দেখিয়েছে। কিন্তু বাকি খাতগুলোর রপ্তানি কমে যাওয়া ভাল লক্ষণ নয়।
পিআরআই নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, “আক্ষেপের বিষয় নন-আরএমডি খাতটি একেবারেই শূন্যের কোটায়। অর্থনীতির ভারসাম্য রক্ষায় এটা সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াবে, যদি এটা ট্যাকেল করতে না পারি।”
অন্যদিকে গত এক বছরে রেকর্ড সংখ্যক জনশক্তি প্রবাসে পাড়ি জামালেও রেমিটেন্স প্রবাহ সে অনুযায়ী না বাড়ায় হতাশার কথা বলছেন এই অর্থনীতিবিদ।
ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, “২০২২ সালে প্রায় ১১ লাখেরও বেশি মানব সম্পদ বাইরে গেছে। তাদের এখন টাকা পাঠানোর কথা। এবছর ভালো সংখ্যক বাইরে যাচ্ছে। কিন্তু সেই অনুযায়ী প্রবাহ আসছেনা।”
এখনও অদক্ষ বা আধাদক্ষ শ্রমিকের উপরে নির্ভর করায় রেমিটেন্স আয়ে প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় বংলাদেশ পিছিয়ে আছে বলেও মত তার।
এএইচ
আরও পড়ুন