ঢাকা, শুক্রবার   ০৩ জানুয়ারি ২০২৫

থার্টিফার্স্ট নাইট নিয়ে যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:১৩, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪

দুয়ারে কড়া নাড়ছে ইংরেজি নতুন বছর। ঘড়ির কাঁটায় রাত ১২টা বাজতেই শুরু হবে ইংরেজি নতুন বছর। এটা বাংলাদেশের কোনো সংস্কৃতি না হলেও সরকারে নানা নিষেধাজ্ঞা সত্বেও প্রতিবছর নানা আয়োজনে পালন করা হয় দিনটি। এবার থার্টিফার্স্ট নাইট এদেশের কোনো সংস্কৃতি নয়, উল্লেখ করে এসব অনাচার ও অপসংস্কৃতি বন্ধ  করার আহ্বান জানিয়েছেন জনপ্রিয় ইসলামী আলোচক শায়খ আহমাদুল্লাহ। 

একই সঙ্গে তিনি বলেন, নতুন বছরে কোনো দুর্ঘটনা ও উদযাপনের নামে আতঙ্ক চাই না। আমরা ফানুসের আগুন, শব্দদূষণ, পশুপাখি ও বৃদ্ধ-শিশুদের আতঙ্কমুক্ত একটি নতুন বছরে প্রবেশ করতে চাই। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি এসব কথা বলেন। 

শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, সারা বছর ভালো থাকার জন্য প্রকৃতি পূজারীরা বছরের প্রথম দিন আনন্দ উৎসবে মেতে উঠত। অথচ আজকের বিজ্ঞানমনস্করা সেই অবান্তর উৎসবকে ধুমধাম করে পালন করতে সবচেয়ে উৎসাহী। থার্টিফার্স্ট নাইট এদেশের মাটি থেকে উৎসারিত কোনো সংস্কৃতি নয়। এটা বিদেশ থেকে আমদানি করা এক ধরনের উন্মাদনা। 

দুর্ঘটনার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেছেন, বিগত বছরগুলোতে এই উন্মাদনার বলি হয়েছে শিশু উমায়ের। ধ্বংস হয়েছে সর্বস্ব দিয়ে গড়ে তোলা এক বোনের প্লাস্টিক কারখানা। বিপন্ন হয়েছে শত শত পাখি ও কুকুর-বিড়ালের জীবন। 

শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, বর্ষবরণের নামে আমদানি করা এই অনাচার ও অপসংস্কৃতি বন্ধ করতে উপরের ঘটনাগুলোই কি যথেষ্ট নয়?

তিনি আরও বলেন, আশার খবর হলো, সরকার এ বছর ফানুস ওড়ানো ও আতশবাজি নিষিদ্ধ করেছে। সরকারি নিষেধাজ্ঞার পরও কেউ যদি এই অনাচার করতে চায়, তবে প্রত্যেক এলাকার দায়িত্বশীল বিবেকবান মানুষের এই অনাচার বন্ধে সামাজিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।

শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, নতুন বছরে আমরা কোনো দুর্ঘটনার সংবাদ শুনতে চাই না। আমরা ফানুসের আগুন, শব্দদূষণ, পশুপাখি ও বৃদ্ধ-শিশুদের আতঙ্কমুক্ত একটি নতুন বছরে প্রবেশ করতে চাই।

এমিবি


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি