দাম না বাড়লেও পোশাক রপ্তানি বেড়েছে : বাণিজ্যমন্ত্রী
প্রকাশিত : ১৮:৪২, ১৯ আগস্ট ২০১৭
দেশের পোশাক রপ্তানির পরিমান আগের তুলনায় অনেক বাড়লেও দাম বাড়ানো হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। শনিবার রাজধানীর ইস্কাটনে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (বিআইআইএসএস) সভা কক্ষে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
‘বাংলাদেশ ইন রিজিওনাল ট্রেড অ্যান্ড কানেকটিভিটি এ পলিটিকো-ইকোনোমিক অ্যাসেসমেন্ট’ শীর্ষক এ আলোচনা সভা আয়োজন করে সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস)। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রফেসর আতাউর রহমান। সভায় সাবেক মন্ত্রী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, প্রবীন রাজনীতিবিদ আসম রব, ডা. জাফরুল্লাহ, অর্থনীতিবিদ মামুনুর রশীদ, নাসির উদ্দিন, সাবেক এনবিআর চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ, সিজিএস নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
সভায় মন্ত্রী বলেন, রানা প্লাজা ধসের পর থেকে তৈরি পোশাক রপ্তানি বেশি হলেও দাম কম হওয়ায় আয় সেভাবে বাড়েনি।
পশ্চিমা ক্রেতাদের জোট অ্যাকর্ড-অ্যালায়েন্সের সমালোচনা করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর ক্রেতারা তৈরি পোশাকের কোনো দাম বাড়ায়নি। অথচ অ্যাকর্ড-অ্যালায়েন্সের পরামর্শে আমরা গ্রীন কারখানা, ফায়ার সেফটিসহ সব কিছু করলাম। কিন্তু তারা পোশাকের দাম বাড়ায়নি।
তিনি বলেন, বিশ্বের কোথাও অ্যাকর্ড-অ্যালায়েন্স নেই। আমি তাদের বলছি, আপনারা শুধু বাংলাদেশে কেন, ভিয়েতনাম, চীন যাচ্ছেন না কেন?
তোফায়েল আহমেদ বলেন, একমাত্র বাংলাদেশেরই প্রধান রাজনৈতিক দলের ঐক্য নেই। জাতীয় অর্থনৈতিক স্বার্থে অনেক দেশেই রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্য রয়েছে। তিনি বলেন, বিগত সাড়ে ৮ বছরে দেশে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি বিস্ময়কর উথান হয়েছে। ২০২১ সালে সূবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশ ডিজিটাল মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, কোনো দেশ তার দেশি শিল্পের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দেয় না। সব দেশই নিজের শিল্পকারখানাকে এগিয়ে নিতে চায। এটা ঠিক ভারত দুটো পণ্য ছাড়া সব পণ্যে কোটা ফি, ডিউটি ফি সুবিধা দেয়। আমাদের পাটের রপ্তানির ২০ শতাংশই ভারতে রপ্তানি হয়। তাই ভারত পাটজাত পণ্যে অ্যান্টি ড্যাম্পিং শুল্ক আরোপ করেছে, তবে কাঁচা পাটে নয়। কারণ কাঁচাপাট তাদের বেশি দরকার। আমরা অ্যান্টি ড্যাম্পিং শুল্ক প্রত্যাহারের জন্য কথা বলেছি, আরো বলবো।
আরকে/ডব্লিউএন
আরও পড়ুন