ঢাকা, রবিবার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

দালালের খপ্পরে বিদেশে যেয়ে পড়ছেন পাসপোর্ট জটিলতায় (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৫২, ১৩ মে ২০২৩

দালালের খপ্পরে পড়ে মিথ্যা তথ্যে দিয়ে তৈরি পাসপোর্টে বিদেশে যাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। আর এ প্রক্রিয়ায় যারা যাচ্ছেন তারা পড়ছেন বিপদে। এমন প্রায় ২৫ হাজার বাংলাদেশি বসবাস করছেন ইতালি ও ফ্রান্সে। জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া পাসপোর্ট নবায়ন হচ্ছে না। 

বয়স কম হলে মধ্যপ্রচ্যের দেশগুলোতে যাওয়া তুলনামূলক সহজ। শুধু জন্ম নিবন্ধন সনদের ভিত্তিতে পাসপোর্ট ইস্যু করে এসব দেশে পৌঁছায় দালালের সহায়তায়। 

প্রায় পঞ্চাশ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রার কর্মপরিবেশ সহ্যসীমা ছাড়ালে এসব শ্রমিক কোন মত লিবিয়া হয়ে পৌঁছায় ইতালী, ফান্সসহ ইউরোপীয় ইউনিয়রের দেশগুলোতে। 

সেখানে তথ্যের লুকোচুরি সহজ নয়, সত্যটা বলতেই হয়। অস্থায়ী থাকার অনুমতি মিলে ঠিকই কিন্তু বেধে দেয়া হয় প্রকৃত পাসপোর্ট হাজিরের।

ভার্চুয়ালে ফ্রান্স ও ইটালী প্রবাসীরা জানান, আরবের দেশগুলো অল্প বয়সীদের ভিসা দেবেনা, ওরা চেহারা দেখেনা বয়সের উপর ভিত্তি করে ভিসা দেয়। অনেকের ইতিমধ্যে মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে যদি পাসপোর্ট না আনতে পারি তাহলে সব সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে হবে। ভালো জব করতে গেলে পাসপোর্ট কোথায় জানতে চায়, এই পাসপোর্ট না থাকলে আমরা দেশে ফিরতে পারবোনা। যদি বাংলাদেশ থেকে আসে যে, জন্মনিবন্ধন অনুযায়ী পাসপোর্ট সংশোধন করা যাবে তখনই তারা আমাদের বিষয়টি গ্রহণ করবে।

কিন্তু সহজে মেলেনা লাল সবুজের পাসপোর্ট।  আগে দরকার হয় জাতীয় পরিচয়পত্র বা এনআইডি। গ্রীন কার্ড, ওর্য়াক পারমিটের খুব কাছাকাছি থেকেও অবৈধ হয়ে বসবাস করতে হয়। 

ভার্চুয়ালে নেয়া-ফ্রান্স ও ইটালী প্রবাসীরা জানান, এজেন্টের মাধ্যমে আসলে পাসপোর্ট লাগেনা। পাসপোর্টের মতো একটি আইডি পারমিটে আসি। 

আড়ালে-আবডালে কাজে, ঘামের অনুপাতে শ্রমের মূল্য জুটে না এসব হতভাগ্যের। এদিকে, সহায় সম্বল বিক্রি করে প্রিয় মানুষটিকে বিদেশ পাঠিয়ে নি:স্ব দেশে স্বজনরাও। সরকারি দপ্তরগুলোয় ঘুরেও মিলছে না সমাধান। 

অভিভাবকরা জানান, ২২ লাখ টাকা খরচ গেছে, সহায়-সম্পত্তি যা ছিল সবই শেষ। ওখানে ছেলে মরছে এখানে মরতাছি। 

দেশের আইনে এনআইডি ছাড়া পাসপোর্ট দেবার উপায় নেই। তবে, সংকটের বিষয়ে পরিপূর্ণ ওয়াকিবহাল পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়। 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, “প্রবাসীদের প্রায়শই অভিযোগ থাকে এনআইডি ও পাসপোর্ট সংশ্লিষ্ট সেবাগুলো মিশনগুলোতে পাওয়া যায় না। বাস্তবতা হলো, তা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন নয়। তবে জটিলতা কমিয়ে সহজে প্রবাসীদের সেবা প্রদানের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।”

জন্ম নিবন্ধন পাসপোর্ট ব্যবস্থা ডিজিটাইজেশন হয়ে গেছে। বিদেশও এসব মানুষের তথ্য যাচাইয়ের সুযোগ রয়েছে। ফলে   উত্তরণ খুব একটা জটিল কিছু নয়, মত ভিসা কনসালটেন্টদের। 

লন্ডন ভিসা কনসালটেন্ট ব্যারিস্টার মাজেদুর চৌধুরী বলেন, “বাংলাদেশের যে কোনো দূতাবাস সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তথ্যের যাচাই-বাছাই করতে পারে। এটা কোনো জটিল কাজ নয়।”

এই অবস্থায়, সরকারের উদ্যোগ ছাড়া বরফগলার কোন সম্ভাবনা আপাততঃ নেই। কিন্তু, যাদের পাঠানো অর্থ দেশের রিজার্ভে বড় ভূমিকা রাখছে তাদের দিনের পর দিন এভাবে ক্ষয়ে যাওয়া আর কতদিন?

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি