ঢাকা, সোমবার   ২১ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

দায়িত্ব পালন না করে সম্মানী নিলেন কুবি উপাচার্য-কোষাধ্যক্ষ

কুবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১২:২১, ১৪ মে ২০২৪

Ekushey Television Ltd.

গুচ্ছের 'সি' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় কেন্দ্রে না এসে সম্মানী নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম. আবদুল মঈন ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে। শিক্ষকরা বলছেন, ক্ষমতা অপব্যবহার করে তারা এই সম্মানী গ্রহণ করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা জানান, গত ১০ মে ভর্তি পরীক্ষার অংশ হিসেবে উপাচার্য ১৫ হাজার টাকা ও কোষাধ্যক্ষ ১২ হাজার টাকা নিয়েছেন। তবে তাদের কেউই পরীক্ষা কেন্দ্রে আসেননি। 

এদিকে উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ ভর্তি পরীক্ষার দিন বাংলোতে ছিলেন বলে জানিয়েছেন উপাচার্যপন্থি শিক্ষকরা৷

এ বিষয়ে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার সি ইউনিটের অর্থ কমিটির সদস্য সচিব শুভ্র ব্রত সাহা বলেন, সদস্য সচিব হিসেবে আমি আমার দায়িত্ব পালন করেছি। এ বিষয়ে আহবায়ক ভালো বলতে পারবেন।

অর্থ কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, যতটুকু জানি ভিসি বাংলো ক্যাম্পাসের অন্তর্ভুক্ত। অর্থ বণ্টন করে অর্থ দপ্তর। এতগুলো মানুষের টাকা এক ঘণ্টার মধ্যে বণ্টন করা সম্ভব না বিধায় পরীক্ষা শুরুর আগেই বণ্টন করা হয়ে থাকে।

অর্থ দপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর নাসির উদ্দিন বলেন, স্যার বাংলোতে ছিলেন, আমি আমার দায়িত্ব পালন করেছি।

সি ইউনিটের আহবায়ক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আহসান উল্ল্যাহ বলেন, ভিসি স্যার আর ট্রেজারার বাংলোতে ছিলেন। তবে উপ-উপাচার্য আমার সাথে সার্বক্ষণিক ছিলেন।

সম্মানী গ্রহণের বিষয়ে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, তোমার কাছে ভুল তথ্য আছে। আমি অফিস করেছি, স্বাক্ষরও করেছি।

তবে কোষাধ্যক্ষ অফিসের সেকশন অফিসার নমিতা পাল বলেন, আমি যতক্ষণ ছিলাম স্যারকে দেখি নাই। এরপর আমি পরীক্ষার ডিউটিতে চলে যাই। পরীক্ষা শেষে বাংলোতে গেলেও স্যারকে পাওয়া যায়নি। 

উপাচার্যের পিএস-২ হোসাইন মোরশেদ ফরহাদ বলেন, স্যার ক্যাম্পাসে আসেননি, তবে বাংলোতে ছিলেন।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি