‘দিকভ্রান্ত পথিকের মতো প্রলাপ করছে বিএনপি নেতারা ’
প্রকাশিত : ১৪:৫৫, ২৪ জুলাই ২০২০ | আপডেট: ১৫:০৭, ২৪ জুলাই ২০২০
বিএনপি নেতাদের সমালোচনা করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচন ও আন্দোলনে জনগণ থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়ে বিএনপির নেতারা দিকভ্রান্ত পথিকের মতো প্রলাপ করছে।
আজ শুক্রবার (২৪ জুলাই) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটি আয়োজিত অনুষ্ঠানে সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্স যুক্ত হয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রতিনিধিদের মাধ্যমে করোনা প্রতিরোধ সামগ্রী ও বন্যাদুর্গত জেলায় ত্রাণ বিতরণ উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নিজেদের দুর্বলতা ঢাকার নামে সরকারের বিরুদ্ধে বিষেদগার ও চাতুর্যপূর্ণ কথামালা ব্যবহার করে প্রেস ব্রিফিং নির্ভর গলাবাজির রাজনীতি করছেন দলটির নেতাকর্মীরা।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, গলাবাজির দিন শেষ, ডিজিটাল বাংলাদেশে জনগণ এখন অনেক সচেতন। জনগণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি আস্থাশীল। জনগণ জানে বৈশ্বিক মহামারি ও দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবিলা ও পরবর্তী অর্থনৈতিক গতিশীলতা পুনরুদ্ধারে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই।
বিদেশ গমনেচ্ছুদের করোনা পরীক্ষার যৌক্তিক সময় নির্ধারণের আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, রিপোর্ট দেয়ার ক্ষেত্রে সময় ক্ষেপণ না করে বিশেষ ব্যবস্থায় এবং অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তাদের রিপোর্ট আগে বা স্বল্প সময়ে দেয়ার উদ্যোগ নিতে হবে। বিদেশগামীদের নমুনা পরীক্ষার জন্য কেন্দ্র নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে।কিন্তু নমুনা পরীক্ষার ক্ষেত্রে দীর্ঘ লাইন একদিকে বিদেশগামীদের ভোগান্তি বাড়াচ্ছে। অন্যদিকে রিপোর্ট পাওয়া পর্যন্ত তাদের উদ্বেগে থাকতে হচ্ছে। কেউ কেউ অভিযোগ করছে নমুনা দেয়ার পরবর্তী তিনদিনের মধ্যে সংক্রমিত হলে তা বিদেশে নমুনা পরীক্ষায় ধরা পড়তে পারে। তখন প্রাপ্ত সনদ কাজে আসবে না বা বিশ্বাসযোগ্য হবে না। তাই বিদেশগামীদের নমুনা পরীক্ষায় একটি যৌক্তিক সময় নির্ধারণ করা দরকার। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী নমুনা গ্রহণ এবং রিপোর্ট প্রদান করে তাদের উদ্বেগ কমানোর জন্য স্বাস্থ্য বিভাগের নজর দেয়া জরুরি।
কাদের বলেন, পাশাপাশি নমুনা দেয়ার ক্ষেত্রে দীর্ঘ অপেক্ষার পরিবর্তে অনলাইন রেজিস্ট্রেশন এবং বিদেশগামীদের জন্য বুথের সংখ্যা বাড়ানো যেতে পারে। শেষ মুহূর্তে তাড়াহুড়ো না করে আগেভাগে তৎপর হওয়া উচিত। রিপোর্ট প্রদানের ক্ষেত্রে সময় ক্ষেপণ না করে বিশেষ ব্যবস্থায় এবং অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তাদের রিপোর্ট আগে বা স্বল্প সময়ে দেয়ার উদ্যোগ নিতে হবে। বিদেশগামীদের নমুনা পরীক্ষা সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে স্বাস্থ্য বিভাগসহ সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, করোনা সংক্রমিত বিশ্বের প্রতিটি দেশই চেষ্টা করছে সংক্রমণ রোধে। বাংলাদেশও মহামারি নিয়ন্ত্রণে এবং জনগণের সুরক্ষায় নানা সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও প্রাণান্ত প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, করোনার এই সংকটে মানুষের জীবন-জীবিকা সচল রাখতে খাদ্যের অভাবে মানুষের যাতে কষ্ট না হয়, সেজন্য প্রধানমন্ত্রী একের পর এক জনকল্যাণমুখী পদক্ষেপ নিয়ে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দুর্যোগ মোকাবিলায় আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বাংলাদেশ এখন অনেক শক্তিশালী।
ধানমন্ডিতে এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাক্তার রোকেয়া সুলতানা, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান।
এসএ/
আরও পড়ুন