দিনাজপুরে তাপমাত্রা ৮.৮ ডিগ্রি, শীত নিবারণের আগুনে মৃত্যু
প্রকাশিত : ১৪:২৯, ১৩ জানুয়ারি ২০২৪
শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে দেশ। বেশিরভাগ জেলায় প্রায় সারাদিনই সূর্যের দেখা মেলে না। আবহাওয়া অফিস বলছে, রাতের তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে দিনাজপুরে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রংপুরের পীরগঞ্জে শীতে আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ হয়ে রংপুর মেডিকেল হাসপাতালে বান ইউনিটে বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে।
দেশে দেশের ১৩ জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে শৈত্য প্রবাহ। রাজধানীতে সর্বনিন্ম তাপমাত্রা ১৮ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে। তবে হিমেল বাতাসে বাড়িয়ে দিয়েছে শীতের তীব্রতা।
আবহাওয়া অফিস বলছে, আগামি কয়েক দিন রাত ও দিনের তাপমাত্রার পার্থক্য বাড়তে পারে। তবে ১৮ ও ১৯ জানুয়ারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে, কয়েকদিন ধরে সূর্যের দেখা পায়নি দিনাজপুরের মানুষ। ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাস শীতকে আরো তীব্র করে তুলেছে। আজ শনিবার সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল দিনাজপুরে।
ঘন কুয়াশার সঙ্গে হিমেল বাতাসের নওগাঁর তাপমাত্রা কমছে। তীব্র শীতে জবুথুবু জনজীবন।
পঞ্চগড়ে ঘন কুয়াশা আর সারাদিন বয়ে চলা হিমেল বাতাস শীতের তীব্রতাকে আরও কঠিন করে তুলেছে। ভোগান্তিতে পড়েছে শিশু ও বৃদ্ধরা। বিপাকে ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষরা।
কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে মেহেরপুর। ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জনজীবন।
কনকনে ঠান্ডা বাতাসে চুয়াডাঙ্গার জনজীবন থমকে গেছে। কুয়াশার কারণে নষ্ট হচ্ছে ধানের বীজতলাসহ রবিশস্য।
রংপুর অঞ্চলের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে শৈত্য প্রবাহ। ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে শীতজনিত বিভিন্ন রোগ।
ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় গাইবান্ধার মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। অতিরিক্ত ঠান্ডায় গাছ নষ্ট হয়ে ক্ষতির মুখে পড়েছে লাউ চাষিরা।
শীতের দাপটে কাহিল সিরাজগঞ্জের মানুষ। স্বাভাবিক জীবনযাত্রাও ব্যাহত হচ্ছে। রাজশাহীতে সকাল হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে শীতজনিত রোগে আক্রান্তদের রোগীর চাপ।
নাটোরে শীতের প্রকোপে দুর্ভোগে পড়েছেন দরিদ্র, ছিন্নমুলসহ স্বল্প আয়ের মানুষ।
কুড়িগ্রামে দুপুর নাগাদ ঘন কুয়াশা কিছুটা কমলেও থেকে যাচ্ছে কনকনে ঠান্ডা।
বরিশালেও বেড়েছে শীতের তীব্রতা। কষ্টে আছেন শ্রমজীবী মানুষ।
এএইচ
আরও পড়ুন