ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪

দিলু রোডের আগুন কেঁড়ে নিল রুশদির বাবা রনিকেও

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:০৩, ২ মার্চ ২০২০

এরা এখন শুধুই ছবি, তিনজনই চলে গেছেন না ফেরার দেশে। ছবি: সংগৃহীত

এরা এখন শুধুই ছবি, তিনজনই চলে গেছেন না ফেরার দেশে। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর দিলু রোডের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ হয়ে গতকালই না ফেরার দেশে চলে গেছেন রুশদির মা জান্নাতুল ফেরদৌস।  আজ গেলেন বাবা শহিদুল কিরমানী রনি। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার (২ মার্চ) ভোর ৫টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিসিইউতে তার মৃত্যু হয়।

ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক ডাক্তার সামন্ত লাল সেন রনির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, শহিদুলের শরীরে ৪৩ শতাংশ দগ্ধ ছিল। তাকে আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ভোরে তার মৃত্যু হয়। মৃতদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।

শহিদুলের পরিবার সূত্রে জানা যায়, নরসিংদী গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে তার লাশ। পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।

বৃহস্পতিবারের অগ্নিকাণ্ডের এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে রনির পরিবারেরই তিনজন। ঘটনার দিনই মারা যায় রনি দম্পতির ছোট্ট শিশু রুশদি। আর মা জান্নাত চলে যান গতকাল রোববার। আর আজ সোমবার গেলেন বাবা শহিদুল রনি।

ঘটনার দিন বাসার নীচ তলায় আগুন লাগে, এই আতঙ্কে বাসা থেকে বের হওয়ার সময় মায়ের কোল থেকে আগুনে পড়ে যায় চার বছরের ছেলে একেএম রুশদী। সন্তানকে বাঁচাতে মা-বাবা দুজনই আগুনে ঝাঁপ দিয়েছিলেন।

দিলু রোডের ওই বাড়িতে আগুনে দোতলায় থাকা বায়িং হাউসের অফিস সহকারী আবদুল কাদের (৪৫) ও ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী আফরিন জান্নাত ওরফে জ্যোতি (১৮) মারা যান। 

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি