দিশাহারা বিএনপি এখন কোন পথে?
প্রকাশিত : ১৩:০৯, ১ জানুয়ারি ২০১৯ | আপডেট: ১৪:৫১, ১ জানুয়ারি ২০১৯
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোট ও রেকর্ড সংখ্যক আসন নিয়ে জয় লাভ করেছে ক্ষমতাসিন দল আওয়ামী লীগ। এদিকে দলীয়ভাবে মাত্র ৫টি এবং জোটগত মিলিয়ে সর্বসাকুল্যে ৭টি আসন পেয়েছে বিএনপি। দলটির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এখন কারাগারে। সেই সঙ্গে তার ছেলে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান রয়েছেন লন্ডনে। তিনিও একজন পালাতক আসামী। এ অবস্থায় ড. কামাল হোসেনই ছিল একমাত্র ভরসা। তাই তার নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গড়ে ভোটে গিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখেছিল দলটি। কিন্তু তাদের এই পরাজয়ে সংকটের মুখে দলটি। সেই সঙ্গে ভোটের ফলাফলে মনোবল হারিয়ে দল-জোটের নেতা-কর্মীরা দিশাহারা। এই অবস্থায় কি করবে বিএনপি?
এমন প্রশ্ন এখন দলের নেতা-কর্মী সহ অনেকের। এ নিয়ে গতকাল সোমবার প্রথমে বিএনপির স্থায়ী কমিটি, এরপর ২০ দল এবং শেষে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট বৈঠক করেছে। এসব বৈঠক শেষে সংবাদ ব্রিফিংয়ে বিএনপি মহাসচিব ও ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একাদশ সংসদ নির্বাচন বাতিলের দাবি জানিয়েছেন। একইসঙ্গে অবিলম্বে নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে পুনঃনির্বাচন ও সরকারের পদত্যাগ দাবি করে তিনি বলেছেন, ‘দাবি আদায়ে আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশি দ্রুতই আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়ার চিন্তা করছেন তারা।’
অপরদিকে সোমবার সন্ধ্যায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতাদের বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন কর্মসূচি ঘোষণা করে বলেছেন, ‘রবিবারের নির্বাচন বাতিল করে পুণঃতফসিলের দাবিতে আগামী ৩ জানুয়ারি ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরাসহ সকল বিরোধী দলের প্রার্থীরা নির্বাচন কমিশনে স্মারকলিপি প্রদান করবেন এবং কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’
সোমবার বিকালে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে প্রথমে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে সংবাদ ব্রিফিংয়ে মির্জা ফখরুল এক প্রশ্নের জবাবে জানান, রবিবারের ভোটে বিএনপির নির্বাচিত পাঁচজন সংসদ সদস্য হিসেবে শপথও নেবেন না, সংসদেও যাবেন না।
এ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমরা তো একাদশ নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছি। নতুন নির্বাচনের দাবি করেছি। ফলে সংসদে যোগ দেওয়ার প্রশ্নই আসে না।’
এদিকে সোমবার রাজধানীর মতিঝিলে ড. কামালের চেম্বারে বৈঠক করেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতারা। বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে ড. কামাল বলেন, ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচনের নামে যে প্রহসনমূলক নাটক মঞ্চস্থ হল, তা সমগ্র দেশবাসী প্রত্যক্ষ করেছেন এবং তা হাড়ে-হাড়ে উপলব্ধি করেছেন। একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে কীভাবে ধ্বংস করতে হয়েছে, তা এদেশের মানুষসহ সমগ্র বিশ্ববাসীকে দেখিয়ে দিয়েছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ এবং তাদের আজ্ঞাবহ প্রধান নির্বাচন কমিশনার। এই কথিত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় সরকারকে বিজয়ী দেখালেও প্রকারান্তরে হেরেছে বাংলাদেশ ও তার ১৭ কোটি মানুষ।
এসএ/
আরও পড়ুন