দীর্ঘদিনের শত্রু রাষ্ট্র কিউবায় বারাক ওবামা
প্রকাশিত : ১২:৫৯, ২১ মার্চ ২০১৬ | আপডেট: ১৫:৩৪, ২১ মার্চ ২০১৬
ঐতিহাসিক সফরে দীর্ঘদিনের শত্র“ রাষ্ট্র কিউবায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। দুই দিনের সফরে রবিবার তিনি কিউবা পৌঁছান। এই সফরের মাধ্যমে দীর্ঘ সময় ধরে বন্ধ থাকা দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক সচল হবে। পুরনোকে ভুলে উজ্জল ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যাক্ত করেছেন ওবামা।
১৯২৮ সাল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে কিউবা সফরে যান ক্যালভিন কুলিজ। এর আগে থেকেই আমেরিকার নিয়ন্ত্রণ থেকে বেরিয়ে আসার জন্য সংগ্রামী হয়ে উঠতে থাকে কিউবানরা। সরকার প্রতিষ্ঠা হলেও দেশটিতে মার্কিন প্রভাব ছিলো প্রবল। ১৯৫৯ সালে বিপ্লবি ফিদেল কাস্ট্রোর নেতৃত্বে ঘটা বিপ্লবে মার্কিন সমর্থিত সরকারের পতন হয়।
এরপর থেকে দুই দেশের মধ্যে বৈরিতার সম্পর্ক শুরু হয়। ধীরে ধীরে দেশটির সঙ্গে কূটনেতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে মার্কিন সরকার।
২০০৮ সালে ফিদেল কাস্ত্রো ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ালে নেতৃত্বে আসেন তার ভাই রাউল কাস্ত্রো। ভাইয়ের নীতিতে দেশ পরিচালনা করলেও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুদ্ধারে সচেষ্ট হন রাউল। বরফ গলতে শুরু করে দুই দেশের মধ্যে।
এরই ধারায় দীর্ঘ ৮৮ বছর পর ক্ষমতাসীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দুই দিনের সফরে রোববার কিউবা পৌঁছান ওবামা। ওবামাকে কিউবা সরকারের পক্ষ থেকে উষ্ণ সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। এর আগেই দুদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন ওবামা ও রাউল।
ঐতিহাসিক এ সফরে দেশটির প্রেসিডেন্ট রাউল কাস্ত্রোর সঙ্গে বৈঠক করবেন ওবামা। তবে সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবী ফিদেল কাস্ত্রোর সঙ্গে বৈঠক হচ্ছে না ।
আরও পড়ুন