দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার সুফল পাচ্ছে সব শ্রেণী-পেশার মানুষ (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১২:০১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩
বাংলাদেশকে শূন্য থেকে শিখরে নিয়ে যাওয়ার অভূতপূর্ব যাত্রা তা সম্ভব হয়েছে সংবিধান ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ পরিচালিত হওয়ায়, এমনটা মনে করছেন উন্নয়ন গবেষক ও বিশ্লেষকেরা। বলছেন, দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা ও সামাজিকখাতে অধিক গুরুত্ব দেয়ার সুফল পাচ্ছে সব শ্রেণী-পেশার মানুষ। এর ধারাবাহিকতা থাকলে আগামী দেড়দশকে উন্নত দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া কঠিন হবে না।
স্বাধীনতা অর্জনের পরেই আর্থ-সামাজিকভাবে দেশ পুনর্গঠনের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কিন্তু ’৭৫ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সংবিধানের মূলমন্ত্র থেকে সরে গিয়েছিল বাংলাদেশ। সেনাসমর্থিত ও স্বৈরশাসকের আমল এরপর বিএনপি-জামায়াত জোটের দুই মেয়াদে বাংলাদেশের পরিচয় জুটেছিল- তলাবিহীন ঝুঁড়ি হিসেবে।
ছিয়ানব্বই সালে ২১ বছর পর ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। সংবিধানের মূলধারা অনুযায়ী সবার মৌলিক চাহিদা পূরণ, সামাজিক নিরাপত্তা, বৈষম্য নিরসন করে কল্যাণকর রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু হয় বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে।
২০০১ থেকে ২০০৮ আবারও পিছিয়ে যাওয়ার গল্প। নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর পালা শুরু হয় ২০০৯ এ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি ক্ষমতায় এলে। আওয়ামী লীগের টানা তিন মেয়াদের ১৫ বছরে সব সূচকেই এগিয়েছে দেশ। স্বল্পোন্নত থেকে মধ্যম আয়ের সম্মান অর্জিত হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, “বিগত ১৫ বছরে প্রতিটি সূচকে এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ। এর মূল কারণ আমাদের সংবিধান অনুসরণ করে চলছি এবং মানুষের চাহিদাগুলো উপলব্ধি করে তা পূরণের চেষ্টা করেছে সরকার।”
এমিরেটাস অধ্যাপক ও সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান বলেন, “সামাজিক সুরক্ষা, কৃষি এবং ব্যক্তিখাতকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পাবলিক-প্রাইভেট মিলে বাংলাদেশটা এগুতে থাকলো।”
দিন বদলের সনদ নিয়ে আসা আওয়ামী লীগ ডিজিটাল বাংলাদেশের অঙ্গীকার পূরণ করেছে। ২০৪১ সাল নাগাদ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানের স্বপ্ন ও বাস্তবায়নের অঙ্গীকার নিয়ে জনগণের কাছে যেতে চায় দলটি। বিশ্লেষকরা বলছেন, সংবিধানকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ ইশতেহার ঘোষণা ও বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখায় সুষম উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে।
আতিউর রহমান বলেন, “দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে হলে একটা স্মার্ট বাংলাদেশ খুব দরকার। আর সেইজন্য তিনি অনেক দূর দেখতে পান এবং সে মতেই তিনি এগুচ্ছেন। আমাদের একযোগে কাজ করতে হবে। সেখানে প্রাইভেট সেক্টর, পাবলিক সেক্টর এবং নন-গর্ভমেন্টাল সেক্টর সবাইকে হাতে হাত মিলিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।”
আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, “একজন নেতা তিনি ভিশন নিয়ে যদি লিডারশীপ দিতে পারেন তাহলে দেশ এগিয়ে যাবে। শেখ হাসিনার মধ্যে বঙ্গবন্ধুর সেই ভিশনের কোয়ালিটি-বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করছি। আছে মানুষকে ভালোবাসা, দেশকে ভালোবাসা- বঙ্গবন্ধুর যে রাজনৈতিক অঙ্গিকার ছিল। সেটিই এখন শেখ হাসিনার মধ্যে আমরা লক্ষ্য করছি।”
সামনের দিনগুলোতে উন্নত দেশের টার্গেট পূরণে দুর্নীতি কমিয়ে শতভাগ সুশাসন নিশ্চিতে সরকারকে আরও বেশি মনোযোগ দেয়ার আহ্বান বিশ্লেষকদের।
এএইচ