দুই সপ্তাহ পর রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন শুরু: মিয়ানমার
প্রকাশিত : ০৯:২১, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ | আপডেট: ১১:১৮, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮
মিয়ানমারের কাছে প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশ সরকারের রোহিঙ্গাদের যে তালিকা দিয়েছে, তা যাচাই বাছাই করতে অন্তত দু সপ্তাহ সময় লাগবে বলে জানিয়েছে মিয়ানমার সরকার। আর যাচাই বাছাই শেষেই প্রকৃত ‘দেশপালানো’দের দেশটিতে ফিরিয়ে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মিয়ানমারের সমাজকল্যাণ, ত্রাণ ও পুনর্বাসনবিষয়ক মন্ত্রী ইউ উইন মিয়াত।
এদিকে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হতে অন্তত দুই সপ্তাহ সময় লাগতে পারে বলেও জানান সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ওই ব্যক্তি। তিনি বলেন, যাচাই-বাছাই শেষ হলে স্থল ও নৌরুটে প্রতিদিন ৩০০ উদ্বাস্তুকে নিতে প্রস্তুত মিয়ানমার। দেশটির অভিবাসন বিভাগ জানায়, বাংলাদেশের দেয়া তালিকা প্রথমে যাচাই করবে দেশটির স্বরাষ্ট্রবিষয়ক কর্তৃপক্ষ। এরপর অভিবাসনবিষয়ক কর্মকর্তারা তালিকার সঙ্গে দেয়া ডকুমেন্ট পরখ করে দেখবেন।
মন্ত্রী ইউ উইন মিয়াত আরও বলেন যাচাই-বাছাই শেষে প্রকৃত দেশ পালানোদের তালিকা বাংলাদেশ সরকারের হাতে তুলে দিবো। এরপরই সরকার সবুজ সংকেত দিলে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হবে।
জানা গেছে, মিয়ানমার সরকারের কর্তাদের দাবি, যেসব রোহিঙ্গার সঙ্গে ডকুমেন্ট আছে (কাগজপত্র আছে), কেবল তাঁদেরই দেশটিতে ফেরত নেওয়া হবে। তবে রোহিঙ্গাদের অভিযোগ, তাঁদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ায় কেবল জীবন নিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে তারা। তাই প্রয়োজনীয় কোন কাগজপত্র তাদের বেশিরভাগের সঙ্গেই নেই।
উল্লেখ্য, গত বছরের আগস্টের শেষে মিয়ানমার সেনাবাহিনী নিধনযজ্ঞ শুরুর পর এ পর্যন্ত প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা নাগরিক পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। এরপর দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ের মধ্যে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে একটি চুক্তি সাক্ষরিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী গত ২৩ জানুয়ারি রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি।
সূত্র: মিয়ানমার টাইমস
এমজে/
আরও পড়ুন