দুই স্কুলের দ্বন্দ্বে বন্ধ কলসিন্দুরের মেয়েদের প্রশিক্ষণ [ভিডিও]
প্রকাশিত : ১৯:৩২, ১৭ জানুয়ারি ২০১৮ | আপডেট: ১৯:৩৬, ১৭ জানুয়ারি ২০১৮
নারী ফুটবলারদের আতুর ঘর হিসেবে পরিচিত কলসিন্দুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ফুটবলার তৈরির কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়েছে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলের দ্বন্দ্বে বন্ধ রয়েছে কোমলমতি ছাত্রীদের প্রশিক্ষণ।
ফলে তৈরি হচ্ছে না নতুন কোনো সানজিদা-তহুরা বা মারিয়া। এ’ সমস্যা দ্রুত সমাধানের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
সময়টা ২০১১ সাল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের নিয়ে দেশব্যাপী শুরু হলো বঙ্গমাতা গোল্ড কাপ ফুটবল প্রতিযোগিতা। পিছিয়ে রইলো না ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার কলসিন্দুর স্কুলও।
প্রধান শিক্ষিকা মিনতী রানী শীল দল গঠন করার দায়িত্ব দিলেন সহকারী শিক্ষক মফিজ উদ্দিনকে। তিনিও চ্যালেঞ্জটা সানন্দে গ্রহণ করলেন। কিন্তু দল গঠন করতে গিয়ে পরলেন নানা ঝামেলায়। মেয়েরা ফুটবল খেলবে এটা যেন কল্পনাই করা যায় না। আসতে থাকে ধর্মীয় অনুশাসন ও সামাজিক বাধা। আর আর্থিক সংকটতো লেগেই ছিলো। তারপরও হাল ছাড়লেন না শিক্ষক ও ছাত্রীরা।
২০১২ সালে প্রথমবার জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণে অভিজ্ঞতা অর্জন করে কলসিন্দুরের দল। পরের বছর আর কলসিন্দুর স্কুলকে ঠেকানো গেল না। ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে পরপর তিনবার শিরোপা জয়।
২০১৬ সালে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলে তৈরি হয় বিরোধ। যার ফলে অনুশীলন করানো বন্ধ করে দেন মফিজ স্যার। এরফলও ভোগ করে কলসিন্দুর প্রাথমিক স্কুল। ২০১৬ ও ২০১৭ সালে আঞ্চলিক পর্বই পেরুতে পারেনি তারা। অথচ এই কলসিন্দুর স্কুলের এক ঝাক কিশোরীই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশকে এনে দিয়েছিলো নারী ফুটবলের প্রথম সাফল্য।
যদিও বছরের মাঝামাাঝি ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক বিষয়টির সমাধান করে দিয়েছিলেন। কিন্তু বাস্তবে তার সমাধান আলোর মুখ দেখেনি। মাধ্যমিক স্কুলে অনুশীলন কিছুটা চালু রাখলেও তা খেলোয়াড় তৈরির জন্য যথেষ্ট নয় বলেই মনে করেন স্থানীয়রা।
বাংলাদেশের নারী ফুটবলের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে কলসিন্দুর প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলে নিজেদের মধ্যে তৈরি হওয়া বিভেদ দূর করে আবারো ফুটবলার তৈরি করতে মাঠে নামবেন মফিজ উদ্দিন স্যার এমনটাই চাওয়া কলসিন্দুরবাসীর।
আরও পড়ুন