ঢাকা, মঙ্গলবার   ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪

দুজাহানের মুক্তি লাভে পালিত হচ্ছে শবে মিরাজ [ভিডিও]

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২৩:১৮, ১৪ এপ্রিল ২০১৮ | আপডেট: ২৩:৫৭, ১৪ এপ্রিল ২০১৮

ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও যথাযথ মর্যাদায় পবিত্র শবে মিরাজ পালন করছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা। নফল নামাজ, জিকির-আসকার ও ইহকালীন কল্যাণ আর পরকালীন মুক্তি কামনায় পালিত হচ্ছে পবিত্র এ রজনী। সকল অনাচার-অবিচার ঘুচে শান্তির বাণী ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মুসুল্লিরা।

ইসলাম ধর্মমতে, যে রাতে হযরত মুহাম্মদ (সা.) স্বশরীরে স্রষ্টার সাক্ষাৎ করেছেন, সেটি লাইলাতুল মিরাজ যা শবে মিরাজ হিসেবে পরিচিত। পবিত্র কাবা হতে মহানবী সপ্তাকাশের উপর আল্লাহর দর্শন লাভ করেন এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের হুকুম নিয়ে দুনিয়াতে প্রত্যাবর্তন করেন।

আজ শনিবার কোরআনখানি, নফল নামাজ, জিকির-আসকার, ওয়াজ মাহফিল, দোয়া-দরুদ পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে পবিত্র শবে মেরাজ উদযাপন করছেন।

পবিত্র লাইলাতুল মেরাজ উদযাপন উপলক্ষে আজ শনিবার সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে আলোচনা সভা মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোরআনখানি, নফল নামাজ, জিকির-আসকার, ওয়াজ মাহফিল, দোয়া-দরুদ পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে পবিত্র শবে মেরাজ উদযাপন করছেন।

পবিত্র এই রজনী পালনে নফল নামায ও জিকির আসকারে করছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা। দেশ-জাতির জন্য শান্তি কামনার পাশাপাশি মুসলিম উম্মাহর জন্য দোয়া করেন মুসুল্লিরা। ক্ষমা চান নিজের পাপ মোচনেরও।

এদিকে সকল অনাচার থেকে পরিত্রাণ পেতে এই রাতের গুরুত্ব তুলে ধরেন জাতীয় মসজিদ বাইতুল মোকাররমের সিনিয়র পেশ ইমাম।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ বলা হয়েছে, সন্ধ্যা ৬ টা ৪৫ মিনিটে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে আলোচনা সভা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দ্বীনী দাওয়াত ও সংস্কৃতি বিভাগের পরিচালক মো. মোজাহারুল মান্নান। ওয়াজ করেন দারুল উলুম আহসানিয়া কামিল মাদ্রাসা নারিন্দার অধ্যক্ষ মাওলানা আবু জাফর মোহাম্মদ হেলালউদ্দিন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে সহকারী পরিচালক মো. হারেস সিনহাসহ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।

ইসলামের ইতিহাস অনুযায়ী হযরত মুহাম্মদের (সা.) নবুওয়াত প্রাপ্তির একাদশ বৎসরের (৬২০ খ্রিষ্টাব্দ) রজব মাসের ২৬ তারিখের দিবাগত রাতে হযরত জিব্রাঈল (আ.)-এর সঙ্গে পবিত্র কাবা হতে পবিত্র বায়তুল মুকাদ্দাস হয়ে সপ্তাকাশের উপর আরশে আজিমে আল্লাহ সুবহানাহু তাআলার দিদার লাভ করেন এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের হুকুম নিয়ে দুনিয়াতে প্রত্যাবর্তন করেন। তিনি অবলোকন করেন সৃষ্টি জগতের সমস্ত কিছুর অপার রহস্য।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম-এর জীবনের সবচেয়ে আলোড়ন সৃষ্টিকারী ঘটনা হচ্ছে ‘মেরাজ’। মেরাজ ইসলামের ইতিহাসে এমনকি পুরা নবুওয়াতের ইতিহাসেও এক অবিস্মরণীয় ঘটনা। কারণ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব ও রাসূল হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম ছাড়া অন্যকোনো নবী এই পরম সৌভাগ্য লাভ করতে পারেননি।

ইসলামে মেরাজের বিশেষ গুরুত্ব হচ্ছে এই মেরাজের মাধ্যমেই ইসলাম ধর্মের নামাজ মুসলমানদের জন্য ফরজ নির্ধারণ করা হয় এবং দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের বিধান নির্দিষ্ট করা হয়।

ভিডিও: 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি