দুর্গম পাহাড়ে বিপুল অস্ত্রসহ সশস্ত্রগোষ্ঠীর ৯ সদস্য গ্রেপ্তার
প্রকাশিত : ১৯:৫৪, ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | আপডেট: ২০:০৩, ১৬ এপ্রিল ২০২৪
সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে চলমান যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ বান্দরবান জেলার রুমা উপজেলার দুর্গম এলাকা থেকে পাহাড়ী সশস্ত্র সন্ত্রাসীগোষ্ঠী কেএনএফের ৯ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে বান্দরবান রিজিয়নের ১৬ ইস্ট বেঙ্গলের ধুপানিছড়া পাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন সুংসাং পাড়া আর্মি ক্যাম্পের মেজর রাজীব।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ৯টি এলজি, ১৯টি এলজি কার্টিজ, ২টি মোবাইল ফোন ও ২টি আইডি কার্ড উদ্ধার হয়।
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)র সহকারী পরিচালক রাশেদুল আলম খান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে চলমান যৌথ অভিযানে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বান্দরবানের রুমা উপজেলার দুর্গম পাহাড়ি এলাকা থেকে সশস্ত্র সন্ত্রাসীগোষ্ঠী কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)র ৯ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এসময় তাদের কাছ থেকে ৯টি অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে।
জানা যায়, কেএনএফ সন্ত্রাসীদের অবস্থানের গোপন খবর পেয়ে এলাকাটি ঘেরাও করে সেনাবাহিনীর সদস্যরা। পরে তাদেরকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় যৌথবাহিনী।
প্রসঙ্গত, গত ২ এপ্রিল রাতে রুমায় সোনালী ব্যাংকে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে পুলিশ ও আনসার সদস্যদের অস্ত্র লুট করে কেএনএফ সদস্যরা। ওই সময় ব্যাংক ম্যানেজার নেজাম উদ্দিন রাসেলকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরদিন ৩ এপ্রিল দুপুরে তিনটি গাড়িতে চড়ে কেএনএফের সশস্ত্র সদস্যরা থানচি উপজেলা সদরে অবস্থিত সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে ক্যাশ কাউন্টারে থাকা প্রায় ১০ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশ, বিজিবি, এপিবিএন ও আনসার বাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত যৌথবাহিনীর নেতৃত্বে বান্দরবানের রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলায় সন্ত্রাসবিরোধী যৌথ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।
এ পর্যন্ত ৭০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৮ জন নারী সদস্য রয়েছে।
এএইচ
আরও পড়ুন