ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

‘দুর্বল প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনে চ্যালেঞ্জ’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:৪৫, ২৫ মে ২০১৭ | আপডেট: ২১:১৩, ২৫ মে ২০১৭

আইসিসি বাংলাদেশের সভাপতি মাহবুবুর রহমান  বলেন, মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওযার জন্য প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশের বেশি অর্জনের পথে বাংলাদেশ ভয়ানক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। চ্যালেঞ্জগুলো হচ্ছে স্থবির বেসরকারী বিনিয়োগ এবং উন্নয়ন প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়নের জন্য দুর্বল প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা। বৃহস্পতিবার ঢাকার একটি হোটেলে আইসিসি বাংলাদেশের বার্ষিক সাধারণ সভায় নির্বাহী বোর্ডের প্রতিবেদন উপস্থাপনকালে এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে পারণত হওয়ার লক্ষ্যে সমুদয় প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে হবে, দারিদ্র এবং আয়ের অসমতা কমাতে হবে, আর এ কারণে বাৎসরিক বিনিয়োগ ২০১৫ অর্থবছরে জিডিপির ২৯ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২০২০ অর্থবছরের মধ্যে জিডিপির ৩৪.৪ শতাংশে উন্নীত করতে হবে।

আইসিসিবির কাউন্সিলের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের অর্থনীতি ২০১৭ এর প্রাক্কালে আরও কিছু চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে রেমিটেন্স হ্রাস পাওয়া এবং আভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে ননপারফর্মিং ঋণ বৃদ্ধি পাওয়া। বিশ্ব রাজনীতি এবং গালফ অঞ্চলের রাজনীতিতে অস্থিরতা এবং ঝামেলাপূর্ণ ইউরোপিয়ান অর্থনীতি বাহ্যিকভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে আশঙ্কার সৃষ্টি করেছে। এছাড়া ইউরোপিয়ান ঋণ সমস্যা এবং মার্কিন ডলারের বিপরীতে বিভিন্ন মুদ্রার অবমূল্যায়ন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন অর্থনীতির পুনরুদ্ধারে শ্লথগতি ২০১৭ সালে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে বেকায়দায় ফেলে দিতে পারে। কারণ এতে করে বাংলাদেশের রপ্তানীর প্রাথমিক গন্তব্য ব্যাহত হতে পারে বলে

মাহবুবুর রহমান বিশ্ব ব্যাংকের একটি সাম্প্রতিক প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে বলেন, উন্নয়নের নীতি-নির্ধারক এবং ব্যবসায়ীদের জন্য বাংলাদেশ যেমন অনুপ্রেরণামূলক তেমন চ্যালেঞ্জও বটে। যেখানে দারিদ্র্যের হার কমানোর উদ্যম অসাধারণ,  তথাপি এখন পর্যন্ত ২৮ মিলিয়ন মানুষ দারিদ্র সীমার নীচে বসবাস করছে। দেশ এখন এক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে রয়েছে, সঠিক নীতিমালা প্রয়োগ করে এবং সময়মত পদক্ষেপের মাধ্যমে দেশ মধ্যম আয়ের সীমায় পৌঁছে যেতে পারে।
 
তিনি আরও বলেন, বাহ্যিক এবং আভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জ সত্তে¡ও বাংলাদেশের অর্থনীতি মসৃণ পথে অগ্রসর হচ্ছে। ইতিবাচক ম্যাক্রো অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি , মূদ্রস্ফীতি হ্রাস, রিজার্ভ বৃদ্ধি, সংযত রাজস্বিক ঘাটতি এবং স্থির সরকারি ঋণ দেশের উজ্জ্বল সম্ভাবনারই নির্দেশনা দেয়। ১২টি উন্নয়নশীল দেশের মধ্যে বাংলাদেশ একটি। যে দেশগুলো ২০১৬ সালে ৬ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে এবং বিগত দশকে এশিয়ার যে সমস্ত দেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রমে প্রাণচাঞ্চল্য ছিল তাদের মধ্যে সেরা দেশগুলোর একটি। বিশেষজ্ঞদের মতে যে কোন মানদÐেই বাংলাদেশের অর্থনীতির অগ্রগতি প্রশংসার দাবীদার এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অর্জন আজ বিশ্বব্যাপী সমাদৃত।

অন্যান্যের মধ্যে আইসিসি বাংলাদেশের সহ-সভাপতি লতিফুর রহমান এবং রোকেয়া আফজাল রহমান উপস্থিত ছিলেন। আইসিসিবির নির্বাহী সদস্যদের মধ্যে আফতাব উল ইসলাম; আনোয়ার উল আলম চৌধুরী (পারভেজ); কুতুবউদ্দীন আহমেদ; ফজলুল হক; মীর নাসির হোসেন এবং আর মাকসুদ খান উপস্থিত ছিলেন। এমসিসিআই সহ-সভাপতি গোলাম মইনুদ্দীন উপস্থিত ছিলেন। আইসিসিবির সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এইচএসবিসি বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফ্রানকয়েস ডি মেরিকোর্ট; মিউচুয়াল ট্রাষ্ট ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. হাশেম চৌধুরী, ন্যাশনাল ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক চৌধুরী মোশতাক আহমেদ, ন্যাশনাল হাউজিং ফাইনান্স এন্ড ইনভেস্টমেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: খলিলুর রহমান, গ্রীন ডেলটা ইন্সুরেন্স কোম্পানীর অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমেদ,  সৈয়দ শাহরিয়ার আহসান, ইউনাইটেড ইন্সুরেন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খাজা মনজের নাদিম, ইটিবিএল সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রিজওয়ান-উর রহমান,  এস. এস. শিপিং এন্ড চার্টারিং এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শাজাহান খান, লি এন্ড ফুং বাংলাদেশের ঊর্ধতন সহ-সভাপতি স্বন্দীপ গুজরাল, পালস ট্রেডিং ফারইষ্ট লিমিটেডের রিপ্রেজেনটেটিভ বশিরুন নবী খান, ফার্ষ্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ ওয়াসেক মো. আলী, ডিবিএল গ্রæপের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক মো: আবদুল জব্বার, বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল আরবিট্রেশন সেন্টারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ এ. রুমী আলী ও শাশা ডেনিমস এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক পারভীন মাহমুদ।     
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি