ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪

দূতাবাসগুলোকে আরও অভিবাসীবান্ধব হতে হবে: পরিকল্পনামন্ত্রী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:৪৭, ১৯ জানুয়ারি ২০১৯ | আপডেট: ১৭:০২, ১৯ জানুয়ারি ২০১৯

বিদেশে বাংলাদেশের দূতাবাসগুলোকে আরও অভিবাসীবান্ধব ও শ্রমিকবান্ধব হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেন, অভিবাসীদের কল্যাণে দূতাবাসগুলো কাঙ্ক্ষিত সেবা দিচ্ছে না। দূতাবাসগুলোকে ২৪ ঘণ্টা প্রবাসীদের সেবা দেওয়া উচিৎ। এ জন্য দূতাবাসে কর্মরতদের আরও বেশি সেবমূলক মনোভাব নিয়ে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।

শনিবার (১৯ জানুয়ারি) রাজধানীর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি) ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এসব কথা বলেন। প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। অনুষ্ঠান শেষে এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি।

মধ্যপ্রাচ্যে নারীকর্মী পাঠানোকে স্পর্শকাতর উল্লেখ করে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ভবিষ্যতে বাস্তবতার আলোকে এ বিষয়ে নতুন করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। অন্যান্য দেশের সঙ্গে সমন্বয় করে আমাদের প্রবাসী কর্মীদের বেতন নির্ধারণ করতে হবে। একইসঙ্গে প্রশিক্ষিত ও দক্ষ কর্মী প্রেরণে আমাদের জোর দিতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, ২০১৭ সালে আমরা সোয়া ১০ লাখ এবং ২০১৮ সালে সাড়ে ৭ লাখ কর্মী বিদেশ পাঠাতে সক্ষম হয়েছি। চলতি বছর ১২ লাখ কর্মী বিদেশ পাঠানোর লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা উচিত প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের। আশা করা যায়, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ইমরান আহমেদ-এর নেতৃত্বে সব রিক্রুটিং এজেন্সির জন্য মালয়েশিয়া শ্রমবাজারে কর্মী প্রেরণের দ্বার উম্মোচিত হবে।

প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি বিজয়ী হয়। পরাজিত হয় ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। এতে বিচারক ছিলেন—অধ্যাপক আবু মোহাম্মদ রইস, ড. এসএম মোর্শেদ, সাংবাদিক প্রসূণ আশীষ, সাংবাদিক ঝুমুর বারি, ও ড. মু. শাহ আলম চৌধুরী।

আরকে//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি