‘দূষণ করলে দায়ও নিতে হবে’
প্রকাশিত : ২১:২৬, ১৭ অক্টোবর ২০২২
টানা পঞ্চম বারের মতো বিশ্বে প্লাস্টিক দূষণকারী প্রতিষ্ঠানের তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছে বহুজাতিক কোম্পানি কোকা-কোলা। একবার ব্যবহার্য্য প্লাস্টিক বর্জ্যের প্রায় ২১ শতাংশই উৎপাদন করছে কোম্পানিটি। দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে আছে পেপসিকো এবং প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পুনর্ব্যবহার না হওয়ায় এসব বর্জ্য সমুদ্রে মিশে পরিবেশ ও স্বাস্থ্যের জন্য চরম বিপজ্জনক হয়ে উঠছে।
একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক রিসাইকেল বা পুনর্ব্যবহার না হওয়ায় পরিবেশে সরাসরি এর ক্ষতির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। ২০২৩ সালের মধ্যে উপকূলীয় অঞ্চলগুলো থেকে এসব প্লাস্টিক নিষিদ্ধের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। অথচ বেড়েই চলেছে প্লাস্টিকের ব্যবহার।
পরিবেশ বিষয়ক সংগঠন এনভায়রনমেন্ট এন্ড সোশাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন-এসডোর সোমবার প্রকাশিত গবেষণায় বলা হয়, একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক উৎপাদনকারী ২২০টি ব্র্যান্ডের মধ্যে দূষণ তালিকার শীর্ষে রয়েছে কোকা-কোলা কোম্পানি। মোট বর্জ্যরে ২০.৭৮ শতাংশই তাদের। এছাড়া দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে আছে যথাক্রমে পেপসিকো এবং প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ।
একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক বর্জ্য যেখান সেখানে ফেলার কারণে হুমকিতে বঙ্গোপসাগর। ভবিষ্যতে সাগরে মাছের সংখ্যা কমে যাওয়ার কথা বলছেন পরিবেশবাদীরা। পাশাপাশি মানুষের শরীরে বাসা বাঁধতে পারে ক্যান্সার।
এসডোর নির্বাহী পরিচালক সিদ্দীকা সুলতানা বলেন, "বিজনেস আমি কাদের জন্য করছি, আমার কনজ্যুমার আছে বলে, কিন্তু তাদের লাইফ যদি আমি হুমকিতে ফেলি তাহলে আমি বিজনেস করতে পারবো? একটা সময় আসবে যখন দেখা যাবে আমার প্রোডাক্ট আছে তবে তা কেনার জন্য মানুষ নেই।"
বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকে সম্পৃক্ত করে দূষণরোধে পরিকল্পিতভাবে কঠোর নীতিমালা করার তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
পরিবেশবিদ শাহরিয়ার হোসেন বলেন, "বড় বড় মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি কেনো পরিবেশ দূষণ করবে? তারা দূষণ করলে তার দায়িত্ব তাদের নিতে হবে। আর দূষণ নীতিও এক্ষেত্রে মেনে চলতে হবে আর তা নিয়ন্ত্রণ করবে সরকার।"
একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের ক্ষতি সম্পর্কে সবাইকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
এসবি/