ঢাকা, শুক্রবার   ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

দেশমাতৃকার পক্ষে সরব এক যোদ্ধা হুমায়ূন আহমেদ (ভিডিও)

আদিত্য মামুন

প্রকাশিত : ১১:৪৭, ১৯ জুলাই ২০২৩

জননন্দিত হুমায়ূন আহমেদ। যাঁর লেখার জাদুতে মুগ্ধ বাংলাভাষী লক্ষ লক্ষ মানুষ। বহুমাত্রিক লেখকের নাটক আর উপন্যাসের অস্তিমূলে লুকিয়ে রয়েছে সমাজের গভীরতম আখ্যান। জনপ্রিয় নাট্যকারের ১১তম প্রয়াণ দিবস আজ।

ভারিক্কির চেয়ে সরল কিন্তু সুগভীর চরিত্র নির্মাণে অনন্য অবদান রয়েছে হুমায়ূন আহমেদের। বাংলা নাটককে নতুন জীবনই শুধু দান করেননি, করেছেন জীবন্ত-মানবিক ও গ্রহণীয়।

চরিত্রের বাঙময়তায় তাই তিনি অবিনশ্বর। কারণ তাঁর সিনেমায় যেমন আছে আবহমান বাংলা তেমনি কাহিনীর প্রান্তজুড়ে সমান্তরাল মহান মুক্তিযুদ্ধ।

কথাসাহিত্যেই শুধু নয়, নিজেস্ব সুর আর স্বর আলাদা ভঙ্গি এনেছিল ধ্রুপদী শিল্পকলায়। এমনকি প্রাচীন বাংলাও প্রাঞ্জলভাবে ধরা দিয়েছে তাঁর সঙ্গীতে। 

হারাতে বসা লালন সাঁই, ম্রিয়মান রবীন্দ্রনাথ-নজরুল কিংবা জীবনানন্দ-জসীম উদ্দীনের ভাবধারা নবরূপে সৃজন করেছেন তিনি। 

ধর্মান্ধতা আর মৌলবাদের বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন উচ্চকণ্ঠ।

বহুমাত্রিক হুমায়ূন মধ্যবিত্তের যাপিত জীবন, ভেতর-বাহিরের অন্তর্দ্বন্দ্ব, নৈতিক আর অনৈতিকতার দ্বান্দ্বিকতা ফুটিয়ে তুলেছেন তাঁর মতো করে।  

রাজনীতির স্তাবকতায় একেবারে উদাসীন হুমায়ূন ছিলেন দেশমাতৃকার পক্ষে সরব এক যোদ্ধা।

নিসর্গপ্রেমি এই কথাশিল্পীর বদৌলতে ৭০ দশকের পর অসংখ্যা মানুষ হয়েছিলেন বইমুখি। এমনকি অমর একুশে বইমেলার প্রাণও ছিল তাঁর লেখনি। 

২০১২ সালের ১৯ জুলাই প্রয়াত হন কিংবদন্তি হুমায়ূন। কিন্তু তিনি বেঁচে আছেন শত চরিত্রের মধ্য দিয়ে। 

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি