ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

দেশে কমে আসছে জলাতঙ্কে মৃতের সংখ্যা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:২৫, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১

‘জলাতঙ্ক : ভয় নয়, সচেতনতায় জয়’-এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে পালিত হচ্ছে ‘বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস’। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালন করা হচ্ছে। ২০০৭ সাল থেকে এ রোগের ভয়াবহতা উপলব্ধি, জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং প্রতিরোধ ও নির্মূলের লক্ষ্যে জলাতঙ্ক দিবস উদযাপিত হয়ে আসছে। 

দেশে ধীরে ধীরে কমে আসছে জলাতঙ্কে মৃতের সংখ্যা। পরিকল্পিত কুকুর টিকাকরণ, সচেতনতা বৃদ্ধিসহ চিকিৎসাবিজ্ঞানের অগ্রসরতার কারণে জলাতঙ্ক রোগাক্রান্তের সংখ্যা কমছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে আরও ব্যাপক হারে কুকুর টিকাকরণ ও কুকুরের কামড়ে আহতদের চিকিৎসায় টিকা প্রয়োগের গাইডলাইন হালনাগাদ করা প্রয়োজন বলেও মনে করেন তারা।

২০৩০ সালের মধ্যে দেশকে জলাতঙ্কমুক্ত করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগোচ্ছে সরকার। এর অংশ হিসেবে ২০২২ সালের মধ্যে জলাতঙ্ক রোগী ৯৫ শতাংশ কমানোর লক্ষ্যও রয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংশ্নিষ্ট বিভাগগুলোর। 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, দেশে ২০০৯ সালে জলাতঙ্ক রোগে মৃতের সংখ্যা দুই হাজারের বেশি ছিল। ২০১৯ সালে এ সংখ্যা কমে নেমেছিল দুইশজনের মতো। ঢাকার সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে ২০০৯ সালে জলাতঙ্ক রোগে মৃতের সংখ্যা ছিল ১৪৮ জন। ২০১৮ সালে তা কমে এসেছে ৪৯ জনে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল, চট্টগ্রামের বিটিআইটিআইডি হাসপাতাল এবং জেলা সদর হাসপাতালগুলোর তথ্য অনুযায়ী মৃতের সংখ্যা ৩০ জনের মতো।

সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ বলেন, জলাতঙ্ক রোগ প্রাণী থেকে মানুষে ছড়ায়। তবে এ রোগের প্রধান বাহক হচ্ছে ‘কুকুর’। এছাড়াও বিড়াল, বেজি ও শিয়ালের কামড় ও আঁচড়ের মাধ্যমেও এ রোগ হতে পারে।

তিনি আরও বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আমাদের নথিভুক্ত ও নথির বাইরে থাকা জলাতঙ্কে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বছরে সব মিলিয়ে একশজনের বেশি হবে না। অর্থাৎ আমরা কমতির দিকেই আছি। আমি মনে করি, কার্যক্রম জোরদার করলে ২০২২ সালের মধ্যে ৯৫ শতাংশ রোগী কমানোর লক্ষ্য অর্জন করা খুব কঠিন হবে না।

দিবসটি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন।
এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি