দেশে চালের উৎপাদন বেড়েছে (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৩:৩৭, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২০
এ বছর বোরো মৌসুমে দেশে চালের উৎপাদন হয়েছে ২ কোটি ২ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন। যা আগের বারের চেয়ে ৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ বেশি।
আউশের আবাদও বেড়েছে ১৮ শতাংশ। কৃষকরা আউশ-আমনের আবাদ ঘরে তুলতে পারলে বোরোসহ চালের উৎপাদন দাঁড়াতে পারে ৩ কোটি ৭৫ লাখ টনের ওপরে। যদিও বছরে চালের চাহিদা ২ কোটি ৭২ লাখ ৬০ হাজার টন। প্রায় ১ কোটি টন বেশি চালের যোগান থাকা সত্ত্বেও খাদ্য নিরাপত্তা শক্তিশালী করতে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
গত বছরের ৩০ জুন কৃষকের গোলায় ২০ শতাংশ ধান মজুদ ছিল। আর এ বছর একই সময়ে তা বেড়ে দাঁড়ায় ২৯ শতাংশে। তবে সরকারি গুদামে মজুদ বেশ খানিকটা কম হওয়ায় আমদানির পথে হাঁটছে সরকার। করোনা ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর জন্য চলমান খাদ্যবান্ধব নানা কর্মসূচি সচল রাখাই এর অন্যতম উদ্দেশ্য। একই সঙ্গে একটি শক্তিশালী খাদ্য নিরাপত্তা-ব্যবস্থা গড়ে তোলার পরিকল্পনাও রয়েছে সরকারের। কৃষি অর্থনীবিদরা বলছেন, পর্যাপ্ত মজুদ থাকলেও সীমিত আকারে চাল আমদানি করা যেতে পারে।
বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. ফকির আজমল হুদা বলেন, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা এফএও যে প্রজেশন করেছে, ফুড আউটলুকে বলেছে বাংলাদেশকে হয়তোবা শূন্য দশমিক ২ মিলিয়ন টন ধান আমদানী করতে হতে পারে।
এদিকে, বৈশ্বিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোও ইতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ ইউএসডিএ বলছে, ৩ কোটি ৬০ লাখ টন চাল উৎপাদনের মাধ্যমে ইন্দোনেশিয়াকে পেছনে ফেলে এবার প্রধমবারের মতো তৃতীয়স্থানে উঠে আসবে বাংলাদেশ। আর ১৪ কোটি ৯০ লাখ টন চাল উৎপাদন করে শীর্ষে থাকবে চীন। ১১ কোটি ৮০ লাখ টন উৎপাদনের মাধ্যমে শীর্ষ রফতানিকারক দেশ হিসেবে পার্শ্ববর্তী ভারতের অবস্থান হবে দ্বিতীয়।
বোরোর বাম্পার ফলন হয়েছে। সামনের আউশ-আমনের আবাদ ঘরে উঠলে চালের বড় ধরনের উদ্বৃত্ত তৈরি হবে। তারপরও বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি বিবেচনা ও খাদ্য নিরাপত্তা জোরদারে সীমিত আকারে চাল আমদানি করা হবে বলে জানালেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, পাশাপাশি এটাও আমরা চিন্তা করি যে, কৃষকরা যেন দাম পায়। কৃষক যদি লোকসান করে তাহলে পরের বছর আর যাবে না। ভোক্তাদের উপর একটু চাপ পড়বে, সেগুলো সমন্বয় করতে হবে।
দেশে উৎপাদিত চালের প্রায় ৫৪ শতাংশই আসে বোরো থেকে। বাকি ৪৬ শতাংশের যোগান দেয় আউস ও আমন।
এএইচ/এসএ/
আরও পড়ুন