দেশে দ্বিতীয়বার ক্যাডাভেরিক কিডনি প্রতিস্থাপন
প্রকাশিত : ১৪:০০, ২৬ জানুয়ারি ২০২৪
বিএসএমএমইউর ক্যাডাভেরিক কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট টিম
বাংলাদেশে দ্বিতীয়বারের মতো ক্যাডাভেরিক প্রক্রিয়ায় ‘ব্রেইন ডেড’ ঘোষিত মানুষের কিডনি অন্য দুজন কিডনি বিকল মানুষের দেহে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। বর্তমানে দুজনই সুস্থ রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) এবং মিরপুরস্থ কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতাল এন্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটে এ ধরনের কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়।
বিএসএমএমইউতে ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্ট পদ্ধতিতে কিডনি প্রতিস্থাপন টিমের প্রধান ছিলেন বিএসএমএমইউর প্রক্টর ও দেশের বিশিষ্ট ইউরোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল।
রাতেই ট্রান্সপ্লান্ট টিমের ছবিসহ ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য নিশ্চিত করেন অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান।
ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্টের শুরুতে বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ কেবিন ব্লকের ওটিতে আসেন। সেখানে অঙ্গদাতা মো. মাসুমের পরিবারের সদস্য ও গ্রহীতার স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন।
উপাচার্য অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘৩৮ বছরের একজন পুরুষকে বৃহস্পতিবার ব্রেইন ডেড ঘোষণা করা হয়। তিনি মস্তিষ্কে আঘাতজনিত কারণে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ৫ দিন আগে হাসপাতালে ভর্তি হন। তিনি পুরোপুরি অজ্ঞান ছিলেন। এর আগেও তিনি আইসিইউতে ছিলেন। তাকে ক্লিনিক্যালি ডেড ঘোষণা করা হয়। ’
উল্লেখ্য, গত বছরের ১৯ জানুয়ারি বিএসএমএমইউতে প্রথমবারের মতো ‘ব্রেইন ডেড’ মানুষের কিডনি দুজনের শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়। সারাহ ইসলাম নামে ২০ বছরের এক তরুণীকে ১৮ জানুয়ারি ‘ব্রেইন ডেড’ ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। সেদিন রাতেই তার কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয় অন্য দুজন নারীর শরীরে।
সেই কিডনি নিয়ে সুস্থ আছেন শামীমা আক্তার নামে এক নারী। তবে অন্য জন মারা যান। সারাহ’র চোখের কর্নিয়াও দেওয়া হয় অপর দুজনকে।
এএইচ