ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪

দেশে নির্বাচনের পরিবেশ অতিতের চেয়ে ভালো: ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২২:১৪, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৮ | আপডেট: ২২:১৫, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৮

অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে এবার নির্বাচনী পরিবেশ অনেক ভালো বলে দাবি করেছে ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম। ফোরাম মনে করছে, দেশে বর্তমানে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ আছে।

বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে বাংলাদেশে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত ৩১টি নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংগঠন ও ২৬টি এনজিওর সম্মিলিত মোর্চা ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলা হয়।

সম্মেলনে আরো বলা হয়, আসন্ন নির্বাচনে বিদেশিদের চেয়ে দেশের সাংবাদিকরা বড় পর্যবেক্ষকের ভূমিকা পালন করতে পারেন। সাংবাদিকরা যত সহজে একটি ফুটেজ নিতে পারেন, কথা বলতে পারেন; তত সহজে কথা বলার সুযোগ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে থাকা কোনো সংস্থার নেই। বিদেশিরা সাধারণত নির্ভর করেন দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যম এবং তাদের নিয়োজিত এজেন্টদের ওপর। তাই একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সাংবাদিকরাই যথেষ্ট।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ফোরামের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আবেদ আলী। এ সময় স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন `সেবক`-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি খান মো. বাবুল, হাইলাইট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মো. সাহিদুল ইসলাম, সেবকের সহ-সভাপতি মো. মনিরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত বক্তব্যে মোহাম্মদ আবেদ আলী বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীদের প্রচারণায় সারাদেশে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। কিছু বিছিন্ন ঘটনা ছাড়া নির্বাচনের পরিবেশ স্থিতিশীল আছে। দেশের ৩০০টি আসনে ৪০ হাজার ১৯৯ কেন্দ্রে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। এ অবস্থায় বিচ্ছিন্ন ঘটনা নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে না।

তিনি বলেন, কিছু সংগঠন রয়েছে, যারা আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার মদদপুষ্ট হয়ে নির্বাচন এলেই ভিত্তিহীন ও অযৌক্তিক প্রতিবেদন দিয়ে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। এ ধরনের ঘটনা কোনোভাবেই কাম্য নয়।

সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকরা নির্বাচনী প্রচারণায় বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের ওপর হামলা এবং সাংবাদিকদের ওপর হামলার বিষয়ে প্রশ্ন করলে ফোরামের কেউ জবাব দেননি।

তবে দেশে বিরাজমান নির্বাচন পরিস্থিতির দিকে ইঙ্গিত করে ফোরামের নির্বাহী পরিচালক বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে সাংবাদিকরাই ভালো বলতে পারবেন। বিদেশি পর্যবেক্ষকদের তুলনায় দেশের সাংবাদিকরাই পারেন সঠিক চিত্র তুলে ধরতে। কারণ বিদেশিরা নির্ভর করেন আমাদের দেশের বিভিন্ন মিডিয়া এবং তাদের নিয়োজিত এজেন্টদের ওপর। আবার বিদেশি সাংবাদিকরা দেশের বিভিন্ন চ্যানেলের রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রতিবেদন তৈরি করেন।

মোহাম্মদ আবেদ আলী বলেন, ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের তত্ত্বাবধানে ৩১টি সংগঠনের প্রায় পৌনে আট হাজার পর্যবেক্ষককে ২১৪টি সংসদীয় আসনে পর্যবেক্ষণের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে বিদেশি পর্যবেক্ষককে অনুমতি দেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, একাদশ সংসদ নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করে তুলতে নির্বাচন কমিশন যথেষ্ট আন্তরিক এবং সচেতন। এ জন্য ইসি নির্বাচন পর্যবেক্ষণে তাদের অনুমতি দেয়। এ ছাড়া কমিশন ১৬টি দেশের ১৭৮ জন বিদেশি পর্যবেক্ষককে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করার অনুমোদন দিয়েছে। এর মধ্যে ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের ১০ জন রয়েছেন।


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি