দশ বছরের বেশি ভিসা নয়
দেশে ফেরার ঝুঁকিতে লক্ষাধিক বাংলাদেশি
প্রকাশিত : ১৪:২৯, ২৪ জুন ২০১৮
মালয়েশিয়ায় অবৈধভাবে বসবাসরত অভিবাসীদের বিরুদ্ধে জুলাই মাস থেকে ‘ওপস মেগা থ্রি-জিরো’ নামে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করবে দেশটির প্রশাসন। এইকসঙ্গে কোনো প্রবাসী ১০ বছরের বেশি ভিসা পাবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছে দেশটি। এর ফলে ভাগ্য ফেরার কাজের উদ্দেশে মালয়েশিয়া যাওয়া লক্ষাধিক বাংলাদেশি দেশে ফেরার ঝুঁকির মুখে পড়েছেন।
ইতোমধ্যে যারা ১১ ও ১২তম ভিসা (স্টিকার) পেয়েছেন সেগুলোও বাতিল করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ।
গত ২২ জুন বৃহস্পতিবার দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে ১১ ও ১২ নম্বর ভিসাপ্রাপ্তদেরও দেশে ফেরত যেতে হবে বলে বলা হয়েছে। হঠাৎ করে এমন নোটিস জারি কারার কারণে বিপাকে পড়েছে দেশটিতে বিদেশি কর্মীরা। ফেরত যাওয়ার শঙ্কায় বিদেশি কর্মীদের মধ্যে প্রায় লক্ষাধিক বাংলাদেশিও রয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০০৭ সালের কলিং ভিসায় যারা মালয়েশিয়া গেছেন তারাও এর আওতায় পড়েছেন। এদিকে মালয়েশিয়ায় নতুন শ্রমিক নিয়োগ সাময়িক স্থগিত করার পরপরই সরকারের এমন ঘোষণায় বিদেশি কর্মীদের মাঝে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।
মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে চালু হওয়া বৈধকরণ প্রকল্পে যেসব কর্মী ও নিয়োগকর্তারা নিবন্ধন করতে ব্যর্থ হয়েছেন তাদের আটক করাই এ অভিযানের প্রধান লক্ষ্য।
সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে দেশটির অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক সেরি মুস্তাফার আলি এ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
এছাড়া দেশটিতে যারা অবৈধভাবে কর্মরত রয়েছেন তাদেরকে আগামী ৩০ আগস্টের মধ্যে ‘থ্রি প্লাস ওয়ান’ এর আওতায় নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে নিয়োগকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মালয়েশিয়ার বিভিন্ন সংস্থার তথ্যানুযায়ী দেশটিতে অবৈধ অভিবাসীর সংখ্যা ৪ লাখের বেশি। উপার্জন ভালো হওয়ায় ভিসার মেয়াদ শেষ হলেও নবায়ন না করেই অনেকেই থেকে যাচ্ছেন।
অন্যদিকে বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত বাংলাদেশি অনেক প্রবাসী দিনের পর দিন হাড়ভাঙা পরিশ্রমের পর অমানবিকভাবে এক ঘরে গাদাগাদি করে রাত্রিযাপন করছেন।
তারা জানান, পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে এভাবেই পড়ে আছি প্রবাসে। সামান্য কিছু বাড়তি আয়ের আশায় রাতভর কাজ করছি।
টিআর/ এআর
আরও পড়ুন