ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

দেশে হাজারে ৩ জন পারকিনসন্স রোগে আক্রান্ত

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:৩১, ১১ এপ্রিল ২০২২

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শারফুদ্দিন আহমদ বলেছেন, ষাটোর্ধ্ব মানুষের পারকিনসন্স রোগ হতে পারে। বাংলাদেশে প্রতি ১ হাজার লোকের মধ্যে ৩ জন পারকিনসন্স রোগে আক্রান্ত হয়।

সোমবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্ব পারকিনসন্স দিবস উপলক্ষে দিবসটির উদ্বোধন পরবর্তী আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন তিনি।

দিবসটি উপলক্ষে র‌্যালি শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিল্টন হলে মুভমেন্ট ডিজঅর্ডার সোসাইটি অব বাংলাদেশের উদ্যোগে ‘পারকিনসন্স রোগ: রোগীদের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যাবলী’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ও সচেতনামূলক ভিডিও প্রদর্শন করা হয়।

উপাচার্য বলেন, “পারকিনসন্স রোগকে অবহেলা করা যাবে না। ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের নিয়মিত শারিরীক ব্যায়াম, ডায়েট কন্ট্রোল ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। সেই সঙ্গে কাঁপুনি হওয়ার সাথে সাথেই নিউরোলজিস্টদের সাথে যোগাযোগ করে চিকিৎসা সেবা নিতে হবে।”

এ সময় উপাচার্য পারকিনসন্স রোগে আক্রান্তদের বিএসএমএমইউয়ে এসে চিকিৎসা নেয়ার আহবান জানান।

উপাচার্য বলেন, “স্বাস্থ্য খাতে বাংলাদেশ ক্রমান্বয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদক্ষেপের ফলে স্বাস্থ্যসূচকে আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। আগে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ছিল ৪৭ বছর। এখন গড় আয়ু প্রায় ৭৩ বছর।”

তিনি বলেন, “নিউরোলজিক্যাল রোগীদের সেবার জন্য আমরা ইতোমধ্যে স্ট্রোক সেন্টার চালু করেছি। তিনি বলেন, বাংলাদেশে আর কোথাও স্ট্রোক সেন্টার নেই। যদি স্ট্রোক আক্রান্ত রোগীরা সঠিক সময়ে এ সেন্টারে আসে, তবে তাদের জীবন রক্ষা করা যায।” স্ট্রোক আক্রান্ত রোগীদের সেবায় ভবিষ্যতে এয়ার এম্বুলেন্স চালু করার বিষয়েও  বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা জানান তিনি।

মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে মুভমেন্ট ডিসঅর্ডার সোসাইটি অফ বাংলাদেশের আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. হাসান জাহিদুর রহমান, সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. আহসান হাবীব হেলাল, সোসাইটি অফ নিউরোলজিস্ট অফ বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক ডা. ফিরোজ আহমেদ কোরাইশী এবং সাধারণ সম্পাদক বিএসএমএমইউ নিউরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আবু নাসার রিজভী বক্তব্য রাখেন।

অন্যান্যের মধ্যে বিএসএমএমইউয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, রেজিস্ট্রার ডা. স্বপন কুমার তপাদার, নিউরোলোজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সুভাষ কান্তি দে, সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ সবুজ, সার্জারি বিভাগের (অনকোলজি) সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. রাসেল, মনোরোগ বিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. ফাতেমা জোহুরা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি