দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি
প্রকাশিত : ১৪:০৫, ৩০ জুলাই ২০১৬ | আপডেট: ১৪:০৫, ৩০ জুলাই ২০১৬
দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। পদ্মা ও যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। রেললাইন ডুবে যাওয়ায় জামালপুর সদরের সঙ্গে দেওয়ানগঞ্জের ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। সিরাজগঞ্জে বন্যাদুর্গত পুরো জেলার মানুষ। তাঁত শিল্প এলাকা প্লাবিত হওয়ায় কর্মহীন হয়ে পড়েছে শ্রমিকরা। তবে, লালমনিরহাটে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে।
বাড়ছে যমুনাসহ দেশের বেশিরভাগ নদ-নদীর পানি। প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা।
জামালপুরে বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি বেড়ে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানিবন্দী জেলার ৫ লক্ষাধিক মানুষ। বন্ধ রয়েছে ৩ শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। রেললাইন ডুবে যাওয়ায় জামালপুর সদরের সঙ্গে দেওয়ানগঞ্জের ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
সিরাজগঞ্জে তাঁত শিল্প সমৃদ্ধ এনায়েতপুর এলাকা এখন ২ থেকে ৪ ফুট পানির নিচে। কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় লোকসান গুণতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। বেকার হয়ে পড়েছেন শ্রমিকরা।
লালমনিরহাটে তিস্তা ও ধরলাসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি কমতে থাকায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। বাড়ি-ঘরে ফিরতে শুরু করেছে অনেকেই। তবে, রাস্তা-ঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছে। দেখা দিয়েছে পানিবাহিত বিভিন্ন রোগ।
বন্যার পানিতে ভেসে গেছে কয়েকশ’ পুকুরের মাছ। ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ভবিষ্যত নিয়ে শঙ্কিত কৃষিজীবী মানুষ।
কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি সামান্য কমলেও ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। চিলমারী উপজেলার রানীগঞ্জে একটি সংযোগ সড়ক ভেঙ্গে গেছে। নতুন করে প্লাবিত হয়েছে কয়েকটি এলাকা। সদরের পাঁচগাছিতে পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
ফরিদপুর ও মুন্সীগঞ্জে পদ্মার পানি প্রবাহিত হচ্ছে বিপদসীমার উপর দিয়ে। অর্ধশতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে কয়েক হাজার হেক্টর জমির ফসল।এছাড়া ভাঙ্গনের আশঙ্কায় দিশেহারা নদী পাড়ের মানুষ।
গাইবান্ধার ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদীর বাধ ভেঙ্গে নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। সব হারিয়ে নিঃস্ব মানুষের মানবেতর দিন কাটছে খোলা আকাশের নিচে।
আরও পড়ুন