ঢাকা, বুধবার   ১২ মার্চ ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

দেশের শিক্ষাব্যবস্থা খুবই নাজুক: শিক্ষা উপদেষ্টা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৮:৪৮, ২২ জানুয়ারি ২০২৫ | আপডেট: ১৮:৫৩, ২২ জানুয়ারি ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

দেশের শিক্ষাখাত ও শিক্ষাব্যবস্থার অবস্থা খুবই নাজুক বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। 

তিনি বলেন, দেশের শিক্ষাখাত ও শিক্ষাব্যবস্থার অবস্থা খুবই নাজুক। স্বল্পসময়ে এ খাতের তেমন সংস্কার করা সম্ভব নয়। আর তিনমাস কাজ করে কিছুই করা সম্ভব নয়। এজন্য সংস্কার কমিশন করেও খুব একটা লাভ নেই। এটা আমার মতামত। আমি এটা বলেছিও।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিকল্পনা কমিশন মিলনায়তনে শিক্ষাবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন এডুকেশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশের (ইরাব) সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন তিনি। 

শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, শিক্ষাব্যবস্থা একটা দেশে নষ্ট হতে অনেক সময় লাগে। এটা একটা সাইকেল (চক্রাকার)। প্রাইমারি স্কুল খারাপ হলে, মাধ্যমিকেও খারাপ হবে। তারা গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে তারাই তো আবার শিক্ষক হবে, পড়াবে। এভাবে পর্যায়ক্রমে শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙে পড়ে।

ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশে শিক্ষাব্যবস্থা প্রথম খারাপ হয় ১৯৭২ সালে। বঙ্গবন্ধুর সময়ে শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন ইউসুফ আলী। তার একটা প্রচণ্ড ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। সেটা হলো- ভালো যে কলেজগুলো ছিল, নামকরা কলেজ যাকে বলে; বিএম কলেজ, ঢাকা কলেজ, মুরারীচাঁদ কলেজ, রাজশাহী কলেজ; প্রথমে এগুলোকে ইউনিভার্সিটি কলেজ বানিয়ে দিয়েছিল।

তিনি বলেন, এরপর পলিটিক্যালি সব কলেজগুলোকে জাতীয়করণ করা হলো। জাতীয়করণ না করলেও ব্যক্তি উদ্যোগে গ্রামে গ্রামে কলেজ গড়ে তোলা হলো, অনুমোদন নেয়া হলো। এভাবে গড়ে উঠলো আজকের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। এখন এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা শিক্ষার্থীরাই সবচেয়ে বেশি বেকার’ যোগ করেন উপদেষ্টা।

সভায় অন্যদের মধ্যে ইরাবের সভাপতি ফারুক হোসাইন, সাবেক সভাপতি সাব্বির নেওয়াজ, নিজামুল হক, শরীফুল আলম সুমন, বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি শাহেদ মতিউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সোলাইমান সালমান, কোষাধ্যক্ষ নাজিউর রহমান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক ইরফান এইচ সায়েম, দপ্তর ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুল্লাহ আল জোবায়েরসহ সংগঠনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এসএস//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি