দেশের সক্ষমতার তুলানায় বিদেশি ঋণ এখনও কম (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১১:৩০, ১৪ অক্টোবর ২০২৩
গত ১৫ বছরে বিদ্যুৎ, যোগাযোগসহ অবকাঠামো খাতে ঈর্ষণীয় উন্নয়ন হয়েছে। আর উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে নিতে হয়েছে বিদেশি ঋণ। ফলে বিদেশি ঋণের পরিমাণও বেড়েছে। তবে তা ঝুঁকিপূর্ণ পর্যায়ে পৌঁছায়নি বলে জানান অর্থনীতিবিদরা। বলছেন, এখনও সহজশর্তের স্বল্পসুদের বিদেশি ঋণ নেয়ার সুযোগ রয়েছে সরকারের।
মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু টানেল, রেলযোগাযোগ, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ সারাদেশে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে দাতা সংস্থা ও কয়েকটি দেশ থেকে ঋণ নিয়েছে সরকার। এতে গত কয়েক বছরে বেশ খানিকটা বেড়ে গেছে সরকারের বিদেশি ঋণ। বেসরকারি খাতও বিদেশি ঋণ নিয়েছে।
ইতোমধ্যেই বেশকিছু নতুন প্রকল্পের ঋণ সুদাসলে পরিশোধ শুরু করেছে সরকার। চলতি অর্থবছরে নতুন ও পুরনো বিদেশি ঋণের সুদ ও আসল মিলিয়ে সরকারকে পরিশোধ করতে হবে ৩২৮ কোটি ডলার।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বিদ্যুৎ, যোগাযোগসহ নানা অবকাঠামো নির্মাণের ফলে অর্থনীতি আরও গতিশীল হবে। বাড়বে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ। এছাড়া চালু হওয়া প্রকল্প থেকেও আসবে অর্থ। তাই বিদেশি ঋণ নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। দেশের সক্ষমতার তুলানায় বিদেশি ঋণ এখনও কম।
অর্থনীতিবিদ ড. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, “বৈদেশিক ঋণ সরকার যেটা নিয়েছে সেটা জিডিপির শতকরা হিসেবে তেমন বড় কিছু নয়। এটা ১৪-১৫ শতাংশের মতো। ওয়ার্ল্ড ব্যাংক এবং আইএমএফ’র সতর্ক বাণী যে এটা বেশি হয়ে যাচ্ছে সেটা হলো ৫০’র কাছাকাছি। সে তুলনায় এখনও অনেক কম আছে।”
তবে বিদেশি ঋণে যাতে অলাভজনক প্রকল্প গ্রহণ করা না হয়, সেদিকে সরকারকে সতর্ক থাকার পরামর্শ অর্থনীতিবিদদের।
ড. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, “২০১৫ সালে আমরা যখন নিম্ন আয় থেকে নিম্নমধ্য আয়ের দেশে উন্নীত হলাম, এটার কারণে আমরা এখন অনেক কনসেশনাল লোন কম পাচ্ছি। আগে আমরা ৪৮ বিলিয়ন ডলারের সময় আড়াই বিলিয়ন ডলার দিতে যেরকম চাপ মনে হতো এখন ২২ বিলিয়ন ডলারের সময় যদি ৩ বিলিয়ন ডলার দিতে হয় তাহলে তুলনামূলক চাপটা বেশি অনুভূত হবে। এটার ক্ষেত্রে একটা হিসাবের ব্যাপার আছে এবং আমাদের রিজার্ভ এখন একটা চাপের মধ্যে আছে।”
একইসাথে চলমান প্রকল্পগুলো দ্রুত শেষ করার পরামর্শ দিচ্ছেন অর্থনীতিবিদরা। পাশাপাশি রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি এবং প্রবাসী আয় ও রপ্তানি বাড়িয়ে বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ মজবুত করার তাগিদ তাদের।
এএইচ
আরও পড়ুন