দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯.৮ ডিগ্রি পঞ্চগড়ে
প্রকাশিত : ০৯:১৭, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ | আপডেট: ০৯:২১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪
তীব্র ঠাণ্ডা ও হিমেল বাতাসে আজও স্থবির উত্তরের জনজীবন। এদিকে সাগরে নিম্নচাপের কারণে উপকূলের জেলাগুলোতে মেঘাচ্ছন্ন আকাশ বিরাজ করছে। কোথাও কোথাও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাত দেখা গেছে। শীতে দুর্ভোগ বেড়েছে মানুষের।
তীব্র ঠাণ্ডা ও হিমেল বাতাসে আজও স্থবির উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের জনজীবন। সপ্তাহ জুড়েই জেলায় ৯ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে অবস্থান করছে তাপমাত্রার পারদ। তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র জানায়, আজ রোববার সকাল ৬টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সন্ধ্যা থেকে ঘন কুয়াশার সাথে হিমেল বাতাস যোগ হওয়ায় কনকনে ঠাণ্ডা অনুভূত হয়। এতে ভোগান্তি বেড়েছে দুঃস্থ, ছিন্নমূল ও ভবঘুরে মানুষের। ঠাণ্ডার কারণে আজও পঞ্চগড় সদর আধুনিক হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গুলোতে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত মানুষের ভীড় বেড়েছে।
এদিকে শহরের পুরনো মোটা কাপড়ের দোকানগুলোতেও ভীড় বেড়েছে।
চুয়াডাঙ্গায় ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত। আজ সকাল ছয়টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ।
প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের কর্তব্যরত কর্মকর্তা রকিবুল হাসান জানান, ঘন কুয়াশা ও উত্তরের হিমেল বাতাসের কারণে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। এই অবস্থা আরও কয়েকদিন দিন থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
ঘন কুয়াশা না থাকলেও পাহাড়ী জেলা রাঙামাটিতে কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে। গেল শনিবার রাতে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হওয়ার কারণে শীত আরেও বেড়েছে। রাঙামাটি শহরে মধ্য তীব্র শীত না থাকলেও প্রত্যন্ত পাহাড়ী গ্রামাঞ্চলগুলোতে শীতের দাপট রয়েছে।
সাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে বাগেরহাটে মধ্যরাতের গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি থেমে গেলেও শীতের প্রকোপ যেন আরও বেড়েছে। কুয়াশার উপস্থিতি না থাকলেও তীব্র শীতে স্থবির হয়ে পড়েছে জীবনযাত্রা। রাস্তাঘাটে যাত্রী সংখ্যা চোখে পড়ার মতো কম। এই অবস্থায় চরম বিপাকে পড়েছেন দিনমজুর ও রিকশাচালকেরা।
শীতের কারণে দিনমজুর ও রিকশাচালকদের আয়-রোজগার প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে।
এএইচ
আরও পড়ুন