ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪

দেশের ৪০ শতাংশ শিক্ষার্থী প্রাথমিক শিক্ষার আগেই ঝরে পড়ে

প্রকাশিত : ১০:৩৮, ১২ জুন ২০১৬ | আপডেট: ১০:৩৮, ১২ জুন ২০১৬

দেশের ৪০ শতাংশ শিক্ষার্থী প্রাথমিক শিক্ষার গন্ডি পেরোনোর আগেই ঝরে পড়ে। এসব শিশুর বিশাল অংশ গ্যারেজ, হোটেলসহ নানা স্থানে কাজ করে। অথচ সংবিধানে সবার জন্য শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আর কর্মক্ষেত্রে শিশুশ্রম নিষিদ্ধ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কেবল আইন করে নয়, রাষ্ট্রীয়, সামাজিক ও পারিবারিক দায়বদ্ধতা বাড়লেই কেবল কমতে পারে শিশুশ্রম। শাকিলের বয়স সবে ১৫ ছুয়েছে। ৬ বছর ধরে একটি মোটর সাইকেলের গ্যারেজে কাজ করে সে। আবিরের বয়স আরো কম! ৩ বছর ধরে কাজ করছে রাজধানীর একটি হোটেলে। এরকম অসংখ্য শিশু বিভিন্ন মিল কারখানা সহ নানা ঝুঁকিপূর্ণ কাজে যুক্ত । বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের দক্ষিনাঞ্চল সহ উপক’লে জলোচ্ছাস আর জলদস্যুদের হাতে প্রাণ হারান অসংখ্য কর্মক্ষম মানুষ। অকালে প্রাণহারানো এসব মানুষের সন্তানদেরই পরবর্তীর্তে পরিবারের দায়িত্ব নিতে হয়। এক গবেষনায় দেখা যায় দেশের মোট জনসংখ্যার ৪৭ ভাগ শিশু। এদের প্রায় ৬শতাংশ ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করছে। আর দক্ষিনাঞ্চলের ১০ শতাংশ শিশুই পরিবারের প্রধান কর্তা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন সামগ্রীকভাবে শিশু শ্রম কমলেও বেড়েছে ঝুঁকিপূর্ণ শিশু শ্রমিকের মাত্রা । সংবিধানের ৪ এর ক ধারায় প্রতিটি শিশুর প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক। এমনকি বাংলাদেশ শিশু শ্রম আইনও কর্মক্ষেত্রে শিশু নিয়োগ অনুমোদন করে না। কিন্তু যে শিশুর কাধে মা-ভাই-বোনদের দায়িত্ব, তার পক্ষে,তো আইনের কথা ভাবলে চলেনা। তাই শিশু শ্রম কমাতে সমাজের আরো সচেতনা প্রয়োজন বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। উৎপাদন থেকে ভোগ্য পন্য পর্যন্ত শিশু শ্রম বন্ধ করতে হবে- এই শ্লোগানেই এবার পালিত হচ্ছে বিশ্ব শিশু শ্রম প্রতিরোধ দিবস।
Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি