ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

দেশের ৯৯% প্রাপ্তবয়স্ক মানুষই স্বাস্থ্যঝুঁকিতে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:৪৫, ১৯ জুন ২০২৩

বাংলাদেশের প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রায় ৯৯ শতাংশ মানুষই কোনো না কোনো স্বাস্থ্যঝুঁকিতে আছেন, বাকি মাত্র ১ শতাংশের কোনো স্বাস্থ্যঝুঁকি নেই। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার অর্থায়নে পরিচালিত এক গবেষণায় দেশব্যাপী স্বাস্থ্যঝুঁকির এই বিষয়টি জানা গেছে।

গতকাল রোববার রাজধানীর একটি পাঁচতারা হোটেলে এই গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই গবেষণায় সহায়তা করেছে। 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পাঁচটি বিষয়কে স্বাস্থ্যঝুঁকির তালিকায় রেখেছে—উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতা, ধূমপান, পর্যাপ্ত ফল না খাওয়া এবং শারীরিকভাবে সক্রিয় না থাকা। কেউ একটি ঝুঁকির মধ্যে আছেন, কেউ একাধিক ঝুঁকির মধ্যে আছেন। বয়স যাঁদের বেশি, তাঁদের ঝুঁকিও বেশি।

অনুষ্ঠানে গবেষণা ফলাফল উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনসের (বিসিপিএস) গবেষণা, প্রশিক্ষণ ও পর্যবেক্ষণ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. রেদুয়ানুর রহমান।

তিনি বলেন, ১৮ থেকে ৬৯ বছর বয়সী মানুষের ৯৬ শতাংশ প্রয়োজনমতো ফলমূল বা শাকসবজি খান না। একই বয়সী ১৯ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ পর্যাপ্ত কায়িক পরিশ্রম করেন না বা তাঁরা শারীরিকভাবে যথেষ্ট সক্রিয় নন।

এই বয়সী মানুষের ২০ শতাংশ ধূমপান করেন। ২৫ শতাংশ পান–জর্দা ব্যবহার করেন। এই বয়সী শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ মদ্যপান করেন। পাশাপাশি ২৪ শতাংশ মানুষ উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন। অন্যদিকে দেশের ১০ শতাংশ মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদিত পদ্ধতিতে গবেষণাটি করা হয়েছে। দেশের আটটি বিভাগের শহর ও গ্রামে ২০২২ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৩ সালের জানুয়ারির মধ্যে গবেষণার তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। গবেষণায় মোট ৭ হাজার ৬৮০ জনের তথ্য নেওয়া হয়েছে। এঁদের বয়স ১৮ থেকে ৬৯ বছরের মধ্যে।

অনুষ্ঠানে বলা হয়, দিনে মোট পাঁচবার ফলমূল বা শাকসবজি খাওয়া দরকার। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিরা দিনে শূন্য দশমিক ৪ বার এবং ১ দশমিক ৯ বার শাকসবজি খান। ৩৭ শতাংশ মানুষ খাওয়ার সময় খাবারে কাঁচা লবণ নেন এবং ১৩ শতাংশ মানুষ প্রচুর লবণযুক্ত ফাস্ট ফুড খান।

অনুষ্ঠানে একাধিক আলোচক বলেন, দেশে ৭০ শতাংশ মৃত্যুর কারণ অসংক্রামক রোগ।

এসবি/ 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি