দেড় ঘণ্টা পর মেট্রোরেলে টিকিট ব্যবস্থা চালু
প্রকাশিত : ১০:৩৬, ১৭ মার্চ ২০২৫ | আপডেট: ১০:৪৩, ১৭ মার্চ ২০২৫

প্রায় দেড় ঘণ্টা পর মেট্রোরেলের টিকিট ব্যবস্থা চালু হয়েছে। কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে মেট্রোরেলের কর্মীরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করলে চালু হয় টিকিট ব্যবস্থা।
সোমবার (১৭ মার্চ) সকাল ৯টার দিকে তারা স্বাভাবিক কাজে ফিরেন। এর আগে প্রায় দেড় ঘণ্টা টিকিট ছাড়া ভ্রমণ করেন যাত্রীরা।
যাত্রীরা ডিজিটাল টিকিট বিক্রয় মেশিন থেকে টিকিট সংগ্রহ করে মেট্রোতে চলাচল করছেন।
এর আগে সোমবার (১৭ মার্চ) সকাল থেকে এমআরটি পুলিশ সদস্য কর্তৃক ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) চারজন সহকর্মী লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় কর্মবিরতিতে যান ডিএমটিসিএল কর্মীরা।
তবে যাত্রীদের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে মেট্রোরেল চালু রাখে কর্তৃপক্ষ। এক্ষেত্রে টিকিট ছাড়াই ভ্রমণ করতে পারছিলেন যাত্রীরা।
রোববার দিবাগত রাতে (১৭ মার্চ) এক বিজ্ঞপ্তিতে কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছিলেন ডিএমটিসিএলের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
এতে বলা হয়, গত ১৬ মার্চ বিকেল সোয়া ৫টায় ডিএমটিসিএলের চারজন সহকর্মী এমআরটি পুলিশ দ্বারা মৌখিকভাবে ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হন, যা অত্যন্ত নিন্দনীয় ও অগ্রহণযোগ্য। মূলত আনুমানিক বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটে দুজন মহিলা কোনো ধরনের পরিচয়পত্র না দেখিয়েই সিভিল ড্রেসে বিনা টিকেটে ট্রেনে ভ্রমণ করে এসে ইএফও অফিসের পাশে অবস্থিত সুইং গেট ব্যবহার করে পেইড জোন থেকে বের হতে চান। যেহেতু তারা নির্ধারিত ইউনিফর্ম পরিহিত ছিলেন না ও তাদের পরিচয় নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি, তাই দায়িত্বপ্রাপ্ত সিআরএ নিয়ম অনুযায়ী তাদের সেখান থেকে পিজি গেট ব্যতীত সুইং গেট দিয়ে বের হওয়ার কারণ জানতে চান।
তবে সংশ্লিষ্ট পুলিশের কর্মকর্তারা এতে উত্তেজিত হয়ে তর্কে লিপ্ত হন ও একপর্যায়ে এমআরটি পুলিশের কন্ট্রোল রুমে চলে যান। পরবর্তীতে ঠিক একইভাবে দুইজন এপিবিএন সদস্য সুইং গেট ব্যবহার করে সুইং গেট না লাগিয়ে চলে যান, উক্ত বিষয়ের কারণ তাদের কাছে জানতে চাওয়া হলে তারা আগের ঘটনার জের ধরে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। কিছুক্ষণ পরে পুলিশ কন্ট্রোল রুম থেকে আরও কয়েকজন পুলিশ এসে দায়িত্বে থাকা সিআরএর সঙ্গেও ইএফও তে তর্কে জড়িয়ে পড়েন এবং ইএফও থেকে বের হওয়ার সময় কর্মরত সিআরএর কাঁধে বন্ধুক দিয়ে আঘাত করে এবং কর্মরত আরেকজন টিএমওর শার্টের কলার ধরে জোরপূর্বক এমআরটি পুলিশ বক্সে নিয়ে গিয়ে মারধর করে এবং গুলি করার জন্য বন্দুক তাক করে।
উপস্থিত স্টেশন স্টাফ ও যাত্রীরা বিষয়টি অনুধাবন করে উক্ত এমআরটি পুলিশের হাত থেকে কর্মরত টিএমওকে বাঁচিয়ে নিয়ে আসে। এ ধরনের ঘটনা মেট্রোরেলের কর্মপরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি স্বরূপ। বর্তমানে আহত (রাইফেল দিয়ে কাঁধে আঘাত করা হয়) সিআরএকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দেয়ার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়, এবং টিএমও (যাকে পুলিশ কন্ট্রোল রুমে হেনস্তা করা হয়, গুলি করার জন্য বুকে রাইফেল ধরা হয়) তিনি উক্ত ঘটনার পর ঘটনার বিবৃতি দেয়ার পর বাসায় যাওয়ার পথে জ্ঞান হারিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন।
এ ঘটনায় ৬ দফা দাবি জানিয়েছে ডিএমটিসিএল কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। উক্ত দাবি না মানা পর্যন্ত মেট্রোরেল পরিষেবা বন্ধ রাখতে নিজেদের কর্মবিরতির সিদ্ধান্তের কথা জানান একাধিক কর্মী।
এএইচ
আরও পড়ুন