দোকান বন্ধের নির্দেশনায় ব্যবসায়ীদের উদ্বেগ
প্রকাশিত : ১২:০২, ৪ মে ২০২৪
রাত ৮টার পর দোকানপাট-শপিংমল বন্ধের ঘোষণায় উদ্বিগ্ন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকার ব্যবসায়ীরা। তবে বিদ্যুৎসাশ্রয়ী এই সিদ্ধান্ত মেনে নেয়ার আহ্বান ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের। যদিও ২০ হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত চাহিদা মেটানো সম্ভব বলছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
বিদ্যুতের উৎপাদন নতুন উচ্চতায়। দৈনিক গড়ে উৎপাদন হচ্ছে সাড়ে ১৬ হাজার মেগাওয়াট। তবে তীব্র গরমে চাহিদাও বেড়েছে অনেক। ফলে দেশজুড়ে হচ্ছে লোডশেডিং। বেশি ভোগান্তিতে গ্রামীণ জনপদ।
পরিস্থিতি সামাল দিতে পিক-আওয়ারে রাজধানীতে বিদ্যুতের চাহিদা কমানোর উদ্যোগ নিচ্ছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোারেশন-ডিএসসিসি। ইতিমধ্যে রাত ৮টার পর দোকানপাট বন্ধের মৌখিক ঘোষণা এসেছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, গরমের কারণে দিনের বেলায় ক্রেতা খুবই কম। রাত ৮টায় দোকান বন্ধ হলে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন তারা।
তারা জানান, মূলত রাতেই চাপ থাকে বেশি। সারাদিন বসে থাকি, গরমের মধ্যে ক্রেতা আসেনা। সেক্ষেত্রে ৮টার পরিবর্তে যদি আরেকটু বেশি সময় খোলা রাখতে পারি তাহলে বেচাবিক্রি বেশি করতে পারবো।
ডিএসসিসি বলছে, বিদ্যুৎ বিভাগের আহ্বানে রাত ৮টার পর দোকানপাট, শপিংমল, মার্কেট বন্ধের এই উদ্যোগ।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মিজানুর রহমান বলেন, “সন্ধ্যার পর বাড়ি-ঘর-মার্কেট সবখানেই একসাথে বাতিগুলো জ্বলে উঠে। তখন স্বাভাবিকভাবেই বিদ্যুতের চাহিদাটা একটু বেশি হয়ে যায়।”
তবে বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, ২০ হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত যোগান দেয়ার সক্ষমতা আছে তাদের।
পাওয়ার সেল মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন বলেন, “২০ হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত যদি চাহিদা হয় আমাদের সেটা উৎপাদনের সক্ষমতা আছে। মূল চ্যালেঞ্জটা আসলে প্রাথমিক জ্বালানির যোগান দেওয়া, সেটার আর্থিক সংস্থান করা। গত ১০ দিন ধরে চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা উৎপাদনও বাড়াচ্ছি।”
এদিকে, আর্থিক ক্ষতি বিবেচনায় রাত ৮টার পরও দোকানপাট-মার্কেট খোলা রাখার দাবি ব্যবসায়ী নেতাদের।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, “গরমে ব্যবসায়ীদের কষ্ট হচ্ছে, ক্রেতাদেরও হচ্ছে। এসব বিবেচনায় নিয়ে কমপক্ষে রাত ৯টা পর্যন্ত যদি দোকানপাট খোলা রাখার ব্যবস্থা করা হয় তাহলে ভোক্তা সাধারণও উপকৃত হবেন।”
ব্যবসায়ীদের সাময়িক ক্ষতি হলেও অস্থায়ী সিদ্ধান্ত মেনে নেয়ার আহ্বান ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার।
এএইচ
আরও পড়ুন