বি.চৌধুরীকে ইঙ্গিত করে অলি
দোকানীদের কাছে পরাজিতদের মাহাথির বানান কেন
প্রকাশিত : ১১:৪৮, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | আপডেট: ১২:০৫, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮
বদরুদ্দোজা চৌধুরী ও ড. কামাল হোসেনের জাতীয় ঐক্যে বিএনপির যোগ দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্তে আক্ষেপ করে এলডিপি চেয়ারম্যান ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বলেছেন, জনগণের কাছে যাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে, দোকানদের কাছে যারা পরাজিত, তাদেরকে মাহাথির মোহাম্মদ বানান কেন?
বি. চৌধুরীকে ইঙ্গিত করে অলি আহমদ বলেন, ৯০ বছরের বুড়োকে ৮০ বছর বানানো যাবে কিন্তু ৫০ বছর বানানো যাবে না। মাহাথির মোহাম্মদ মালয়েশিয়ার জন্মদাতা, আধুনিক মালয়েশিয়ার নির্মাতা। যার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতির অভিযোগ নেই। আর আমরা তো ছেলের কাছে বিক্রি হয়ে যাই। যারা আজকে ঐক্যজোটে আছে তাদের অনেকের ছেলে ভিওআইপি ব্যবসা করেন। ভিওআইপি ব্যবসা কার থেকে নিয়েছে, আওয়ামী লীগের থেকে, সজীব ওয়াজেদ জয়ের কাছ থেকে? আর এদিকে বলছে ঐক্য করছি। রুমের ভেতরে থাকলে একরকম আর বাইরে অন্যরকম।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে এলডিপির দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সরকার বিরোধী ঐক্য গড়ে তোলতে চাইছে বি. চৌধুরী ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামালের নেতৃত্বে কিছু রাজনৈতিক দল। বিএনপিও এই জোটে অন্তর্ভূক্ত হতে চাচ্ছে। তবে বি. চৌধুরী ও ড. কামাল স্বাধীনতা বিরোধী রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে বৃহত্তর ঐক্যে যাবে না বলে অবস্থান নিয়েছেন। এর সমালোচনা করে অলি আহমদ বলেন, বি চৌধুরী যখন বিএনপির মহাসচিব ছিলেন তখন রাজাকাররা মন্ত্রী ছিলেন। আর এখন তিনি জামায়াতের বিরোধিতা করছেন।
বিএনপির উদ্দেশে অলি বলেন, জোটে আমাদের অবস্থান বিএনপি স্পষ্ট করতে পারেনি। এটা স্পষ্ট করা উচিত। ড. কামাল হোসেনের পক্ষ থেকে আমার কাছে ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন এসেছিলেন। বলেছেন, আপনি যদি আসেন এ মুভমেন্টের গতির সঞ্চারিত হবে। উত্তরে বলেছি, আমি দুর্নীতিবাজ নই। আমি পরিষ্কার কথা বলি, আমি গেলে গতি সঞ্চারিত হবে তা জানি। তবে আমি ওখানে কাউকে নেতা বানানোর জন্য যাবো না। আমি যাবো দেশের গণতন্ত্রকে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে। সেটাতে যদি আসেন তাহলে কথা বলেন।’
অলি আরও বলেন, বিএনপি দেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল। তারা যদি এ স্বল্প সময়ের মধ্যে সংস্কার করে পুনর্গঠন করে এখনও তাদের পক্ষে যেকোনো কাজ করা সম্ভব। নির্বাচনে যাওয়ার ব্যাপারে এখনও ২০ দলের পক্ষ থেকে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সুতরাং নির্বাচন নিয়ে এখন কোনো কথা নেই। এখন কথা বেগম জিয়ার মুক্তি।
এ সময় অন্যদের মধ্যে এলডিপি মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহাদৎ হোসেন সেলিমসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
/ এআর /
আরও পড়ুন