দৌলতদিয়ায় কর্মমুখী মানুষের উপচেপড়া ভিড়
প্রকাশিত : ১৬:০৫, ২৯ এপ্রিল ২০২৩
ঈদের ছুটি শেষে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাট ও লঞ্চঘাটে বেড়েছে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ। শনিবার (২৯ এপ্রিল) দুপুর থেকে চাপ বাড়তে থাকে। তবে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বাড়লেও নেই ভোগান্তি।
সরেজমিন শনিবার সকাল থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ঘাটে অবস্থান করে দেখা যায়, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি ও লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তবে ফেরিতে যানবাহনের পাশাপাশি যাত্রীরা কম পার হচ্ছে। সময় স্বল্পতার কারণে লঞ্চে করেই পদ্মা পারাপারে আগ্রহ বেশি যাত্রীদের। ঘাটে পর্যাপ্ত লঞ্চ থাকায় বাড়তি যাত্রীর চাপ সামাল দিতে প্রস্তুত লঞ্চঘাট কর্তৃপক্ষ।
অপরদিকে ঈদে ছুটি না পাওয়ায় এখন রাজধানী থেকে গ্রামের বাড়িতে আসছে অনেকে। অধিকাংশ লঞ্চই পাটুরিয়া ঘাট থেকে শতাধিক যাত্রী নিয়ে দৌলতদিয়া ঘাটে আসছেন। পরে দৌলতদিয়া ঘাট থেকে লোকাল যানবাহনে বিভিন্ন জেলায় ফিরছেন তারা।
চালক ও যাত্রীরা জানান, ঈদ শেষে কাজে যোগ দিতে তারা ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছেন। রবিবার থেকে কাজে যোগ দিতে হবে। ঈদের ছুটি শেষ হওয়ায় তারা কাজে ফিরছেন।
বিআইডব্লিউটিএর দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটের ট্রাফিক পরিদর্শক মো. আফতাব হোসেন বলেন, ‘শুক্রবার সকাল থেকে থেমে থেমে যাত্রীদের চাপ ছিল। আজ বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লঞ্চঘাটে রাজধানীগামী কর্মমুখী মানুষের চাপ বাড়তে শুরু করেছে। দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে মোট ৩২টি লঞ্চ রয়েছে। যাত্রীর চাপ বেশি থাকার কারণে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ২২টি লঞ্চ চলাচল করছে। বাকিগুলো রয়েছে আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে। বাড়তি যাত্রীর চাপ সামাল দিতে লঞ্চঘাট কর্তৃপক্ষ পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে।’
আলহাদীপুর হাইওয়ে থানার ওসি মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাট পর্যন্ত প্রায় ২৫ কিলোমিটার অংশে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। দৌলতদিয়া ফেরি ও লঞ্চঘাটে কর্মমুখী মানুষের আজ বাড়তি চাপ থাকার কারণে আমরা মহাসড়কে সর্বক্ষনিক টহলে রয়েছি। আশা করছি যাত্রীরা দুর্ভোগ ছাড়া তাদের কর্মস্থলে পৌঁছাতে পারবে।’
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন বলেন, ‘ছুটি শেষ হওয়ায় কাজে ফিরছে মানুষ। আজকের পর থেকে মানুষের চাপ কমে আসবে। বর্তমানে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ছোট-বড় ২০টি ফেরির মধ্যে ১৮টি ফেরি যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে চলাচল করছে। তবে যাত্রীরা ঘাটে কোনও ভোগান্তি ছাড়াই তাদের গন্তব্যে যেতে পারছে। যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বাড়লে আরও দুটি ফেরি বহরে সংযুক্ত করা হবে।’
এমএম/
আরও পড়ুন