দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে নাব্যতা ও ঘাট সংকট, ঈদে দুর্ভোগের শঙ্কা
প্রকাশিত : ১১:৫৬, ৯ মার্চ ২০২৫ | আপডেট: ১২:৩১, ৯ মার্চ ২০২৫

রাজবাড়ী দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে গত চার মাস ধরে চরম আকার ধারণ করেছে নাব্যতা সংকট। এতে প্রতিদিনিই ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এতে আসছে ঈদুল ফিতরে যাত্রী সাধারণের দুর্ভোগে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
ঘাট সূত্রে জানা গেছে, ফেরি চলাচলের চ্যানেলে প্রচণ্ড পরিমানে পলি জমাট হয়ে ফেরি চলাচল ধীর গতিতে করতে হচ্ছে। ৩নং ফেরি ঘাট থেকে ৭নং ফেরি ঘাট পর্যন্ত তিন কিলোমিটার পর্যন্ত ফেরি চলাচলের চ্যানেলে পলি পরে ডুবোচর দেখা দেওয়ায় প্রতিটি ফেরি লোড আনলোড ঘুরে আসতে প্রায় দের ঘন্টা সময় লাগছে।
এতে ফেরি গুলো সঠিক সময়ে গন্তব্যে পৌছাতে পারছেনা। আর অতিরিক্ত অর্থ ও সময় নষ্ট হচ্ছে যানবাহন চালক, যাত্রীদের। প্রতিদিনই দুর্ভোগে পরতে হচ্ছে তাদের।
এদিকে দীর্ঘ সময় ফেরি চলাচলে জ্বালানি খরচও লাগছে দ্বিগুন।
আগামী ঈদ মৌসুমে এ নৌরুটে যানবাহন কয়েকগুন বেড়ে গেলে নাব্যতা সংকটে এসব যানবাহন ও যাত্রীরা চরম দুর্ভোগের আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি ঘাট সংকট আরও একটি বড় সমস্যা। সাতটি ঘাটের মধ্যে মাত্র তিনটি ফেরি ঘাট সচল রয়েছে। এর মধ্যে দুটি ঘাট রোরো ফেরি চলাচলের জন্য উপযুক্ত।
আগামী ঈদের আগে নব্যতা সংকটে ড্রেজিং করে পলি অপসারণ ও ফেরি ঘাট বাড়ানো না হলে ২১ জেলার যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে চরম দুর্ভোগের শঙ্কা করছেন এ পথে চলাচলকারীরা।
বর্তমানে দুটি ড্রেজার দিয়ে ড্রেজিং করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
দৌলতদিয়া বিঅইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ জানায়, এ নৌরুটে ১৭ ফেরি রয়েছে। এর মধ্যে ১৩টি ফেরি দিয়ে পারাপার চলমান রয়েছে। কিন্তু ফেরি চলাচলের রুটে পলি সঠিকভাবে অপসারণ না করা হলে ও ঘাট সংখ্যা বাড়ানো না হলে ঈদযাত্রায় মানুষের দুর্ভোগের শঙ্কা রয়েছে বলে জানান কর্তৃপক্ষ।
এএইচ
আরও পড়ুন