ধন-সম্পদ পুঞ্জীভূত করে রাখা ধোঁকা খাওয়ার নামান্তর
প্রকাশিত : ২০:০৫, ১১ মে ২০১৯
ধন-সম্পদ খরচ না করে পুঞ্জীভূত করে রাখা মানুষের একটি মন্দ স্বভাব। একে সংশোধন করার জন্য জানতে হবে যে, মানুষের জীবন বিনাশ হওয়া থেকে নিরাপদ নয়। তার মৃত্যু অতি সন্নিকটে। যদি এমনটি না হতো তখন মানুষ তার সুনিশ্চিত জীবনের পরিমাণ অনুসারে সম্পদ পুঞ্জীভূত করে রাখতে পারতো। এবং তার হায়াতের সীমা অনুপাতে সম্পদ দান করা থেকে বিরত থাকতে পারতো। যে ব্যক্তির সাধারণ একটি নিশ্বাসের নিশ্চয়তা নেই তার জন্য সম্পদ পুঞ্জীভূত করে রাখা এক ধরনের ধোঁকাগ্রস্ত হওয়ারই নামান্তর।
অন্যকে সম্পদ দান না করে নিজে কষ্ট করে তা আগলে রাখা এক ধরনের মূর্খতা। অথচ রাসূলে কারীম—সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম—থেকে বর্ণিত আছে, সাহাবায়ে কিরামকে জিজ্ঞেস করলেন,
أَيُّكُمْ مَالُ وَارِثِهِ أَحَبُّ إِلَيْهِ مِنْ مَالِهِ؟
‘তোমাদের মধ্যে কে এমন আছে, যে নিজের সম্পদের তুলনায় উত্তরাধিকারীর সম্পদকে বেশি ভালোবাসে?’
সাহাবায়ে কেরাম বললেন, ‘আমাদের সকলের কাছেই উত্তরাধিকারীর সম্পদের তুলনায় নিজের সম্পদ অধিক প্রিয়।’ তখন তিনি বললেন,
اعْلَمُوا أَنَّهُ لَيْسَ مِنْكُمْ أَحَدٌ إِلَّا مَالُ وَارِثِهِ أَحَبُّ إِلَيْهِ مِنْ مَالِهِ، مَا لَكَ مِنْ مَالِكَ إِلَّا مَا قَدَّمْتَ، وَمَالُ وَارِثِكِ مَا أَخَّرْتَ
‘জেনে রাখো, তোমাদের প্রত্যেকেই এমন যে, উত্তরাধিকারীর সম্পদই তার কাছে নিজের সম্পদের তুলনায় অধিক প্রিয়। তুমি যা দান করেছো সেটিই কেবল তোমার সম্পদ। আর তোমার উত্তরাধিকারীর সম্পদ হলো তা, যা তুমি (দুনিয়াতে) রেখে গেলে।’
তথ্যসূত্র : আবূ আবদুর রহমান আস-সুলামী, অনুবাদ: আবদুল্লাহ আল মাসউদ, আত্মশুদ্ধি গ্রন্থ