ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪

ধর্ষণের মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে করার দাবি মহিলা পরিষদের

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৮:৪৫, ৩০ নভেম্বর ২০১৭

বর্তমান আইন পরিবর্তন করে ধর্ষণের মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। এইক সঙ্গে ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত অপরাধীকে চিহ্নিত করে পারিবারিক, সামজিক ও রাজনৈতিকভাবে বয়কট করে কঠোর শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানানো হয় সংগঠনের পক্ষ থেকে। বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রসক্লাবের সামনে সংগঠনের পক্ষ থেকে আয়োজিত আন্তার্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ও বিশ্ব মানবাধিকার বিদস ২০১৭ উপলক্ষে প্রতিবাদ সভাবেশে এ দাবি জানানো হয়।

প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে আইনের প্রয়োগ সম্পর্কে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সম্পৃক্ততা থাকতে হবে। এত ঘটনা ঘটে, অথচ দুই শতাংশ নারী বিচার পায়। ফিঙ্গার টেস্টে নারীকে হেনস্থা হতে হয় আদালতে। তিনি বলেন, যে ধর্ষণ করেছে তাকে প্রমাণ করতে হবে যে, সে অপরাধী নয়। পিতৃতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গিতে তৈরি এ আইনে পরিবর্তন আনতে হবে। পুলিশ প্রশাসন যদি জেন্ডার সংবেদনশীল না হয় তাহলে হয়তো ভবিষ্যতে দুই শতাংশ নারীও বিচার পাবে না।

 বক্তারা বলেন, আমাদের দেশে নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের বিচার না হওয়ার কারণে এ ধরনের ঘটনা বেশি ঘটছে। সমাজ কাঠামো ছেলে শিশু ও মেয়ে শিশুর মধ্যে পার্থক্য তৈরি করে দেয়। নির্যাতন ও ধর্ষণমুক্ত একটি সমাজ চাইলে সংস্কৃতি ও সমাজ কাঠামোর পরিবর্তনের লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।

প্রতিবাদ সমাবেশে বেশকিছু প্রস্তাব তুলে ধরা হয়, ধর্ষণের শিকার নারীকে দায়ি করার মানসিকতা পরিহার করতে হবে। ধর্ষণের শিকার নারীর প্রতি সংবেদনশীল হয়ে পরিবার, রাষ্ট্র, সমাজ ধর্ষণের শিকার নারীর পাশে দাড়াতে হবে। তার মানসিক শক্তি বৃদ্ধি চিকিৎসাসহ ন্যায় বিচার প্রাপ্তিতে সহয়তা করতে হবে। নারীর প্রতি সংহিসতার বিরুদ্ধে পারিবারিক মূল্যবোধ গড়ে তুলতে হবে। নারী ও কন্যার প্রতি নির্যাতনকারীদের রাজনৈতিক, সামাজিক, ও প্রশাসনিক আশ্রয় দেওয়া বন্ধ করতে হবে। তথ্য প্রযুক্তি আইনের আওয়াত নারীর ব্যক্তি স্বাধীনতা পোপনীয়তা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

সংগঠনের সভাপতি আয়শা খানমের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন- সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু, যুগ্ম সাধারণ সাম্পাদক সীমা মসলেমসহ সাধারণ সম্পাদক মাছুদা রেহেনা বেগম প্রমুখ।

 

এসএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি