ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ধানমন্ডি-গুলশান-বনানী নামেই পরিকল্পিত আবাসিক এলাকা (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৪৫, ১ এপ্রিল ২০১৮ | আপডেট: ১৩:০৫, ১ এপ্রিল ২০১৮

রাজধানীর ধানমন্ডি, গুলশান, বনানী আর উত্তরা এখন নামেই শুধু পরিকল্পিত নগরী। এসব এলাকায় গড়ে উঠেছে-ব্যাংক, বীমা, কর্পোরেট অফিস, হোটেল-রেস্তোরা, শপিংমলসহ অসংখ্য প্রতিষ্ঠান। এমনকি, বাদ যায়নি শিল্প কল-কারখানা এবং ওয়াকশর্পও। ফলে পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মত ইউটিলিটিজ সার্ভিসের সংকটে কিছুতেই কমানো যাচ্ছে না নাগরিক ভোগান্তি।

ধানমন্ডি ১ বিঘা জমির একেকটি প্লট হিসেবে ১ হাজার ৮৫টি প্লটের, পাকিস্তান আমলে ডিআইটির বিশুদ্ধ আবাসন প্রকল্প।

শুধুমাত্র প্লট আর রাস্তা সর্বস্ব প্রকল্পটিতে রাখা হয়নি শিক্ষা, চিকিৎসা, প্রত্যাহিক কেনাকাটা কিংবা সামাজিক সুযোগ-সুবিধার কোন ব্যবস্থাই।

কিন্তু, অর্থনৈতিক উন্নয়ন আর নাগরিক বিভিন্ন চাহিদায় ক্রমশ বাড়তে থাকে, ধানমন্ডির বিভিন্ন অংশের বাণিজ্যিক কার্যক্রম। চাহিদা নির্ণয় না করেই মিরপুর রোডের ধানমন্ডি অংশ, সাত-মসজিদ রোড, ২৭ ও ২ নম্বর রোড’ এ সব প্লট বাণিজ্যিক ব্যবহারে বৈধতা দেয় রাজউক।

এতেও কাজ হয়নি; আবাসিক এলাকার ভেতরে বাণিজ্যিক কার্যক্রম চলছেই। অনাবাসিক-বাণিজ্যিক দ্বন্ধ সর্বোচ্চ আদালত পর্যন্ত গড়ায়। ২০১২ সালে আদালতের এক রায়ে, এসব বন্ধের নির্দেশনা আসে। তারপর কিছু কিছু উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয় ঠিকই, কিন্তু আদতে কাজের কাজ কিছুই হয়নি।

এদিকে অভিজাত এলাকা, গুলশানের অবস্থা আরো নাজুক। শুধু ‘গুলশান এভিনিউ’ বাণিজ্যিক ঘোষণা করা হলেও গুলশানের প্রত্যেকটি রাস্তা ও ভবনে আছে, বাণিজ্যিক কার্যক্রম।

বনানী আবাসিক এলাকায়, এগারো নম্বর এবং কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ এই দুটি সড়কে, বাণিজ্যিক ব্যবহারে বৈধতা দিয়েছে রাজউক। কিন্তু, এর বাইরেও সব সড়কে বাণিজ্যিক ব্যবহার বারছেই। অবিরাম হৈ চৈ, রাস্তাজুড়ে অবৈধ পাকিং, বাইরের মানুষের আনাগোনায় বেহাল এসব এলাকা।

কবি জসিমউদ্দিন সড়ক, রবীন্দ্র সরনীসহ ৮/১০টি সড়ক বানিজ্যিক ঘোষণা করেও শেষ হয়নি উত্তরা মডেল টাউনের বাণিজ্যিকিকরণ। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও অফিসে লাভ বেশি বলেই, আবাসিক হিসেবে বরাদ্দ পাওয়া প্লটের ভিন্ন ব্যবহার বাড়ছে।

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি