ধূমপান না করেও যেভাবে ক্ষতি হয়
প্রকাশিত : ১১:১২, ১৫ জুলাই ২০২৩
কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে আছেন, বা বাড়িতে বসে আছেন এক জায়গায়, কাছেই কেউ ধূমপান করছে আর সেই ধোঁয়া আপনার নিঃশ্বাসে ঢুকছে , এরকম পরিস্থিতিতে নিশ্চয়ই অনেকে পড়েছেন। এটাই হলো প্যাসিভ স্মোকিং বা পরোক্ষ ধূমপান ।
অর্থাৎ ধূমপায়ীর ধূমপানের ধোঁয়া নিঃশ্বাসে গ্রহণ করা। এটাকে সেকেন্ডহ্যান্ড স্মোকিংও বলা হয়।
যখন কেউ ধূমপান করেন সব ধোঁয়া কিন্তু তার ফুসফুসে যায় না, এটা আশেপাশে থাকা মানুষের নিঃশ্বাসেও প্রবেশ করে।
যারা এই পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হোন অর্থাৎ অধূমপায়ীরাও ফুসফুসের ক্যান্সার, হৃদরোগসহ অন্যান্য রোগের ঝুঁকিতে থাকেন। অর্থাৎ একজন ধূমপায়ী নিজেও যেমন ক্যান্সারের ঝুঁকিতে থাকেন, তেমনি আশেপাশের মানুষদেরও এই ঝুঁকিতে ফেলে দেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, প্রতি বছর ৮০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয় তামাক গ্রহণের কারণে। এর মধ্যে ১২ লাখ মানুষই প্যাসিভ স্মোকিং অর্থাৎ পরোক্ষ ধূমপানের শিকার।
অনেকেই জীবনের শেষ সময়ে নানাবিধ শারিরীক অসুস্থতায় ভুগছেন।
ধূমপায়ীদের আশেপাশের সকলেই এর ঝুঁকিতে থাকে।
শিশু থেকে শুরু করে বয়স্ক সকলেই পরোক্ষ ধূমপানের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি ও স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে থাকে শিশুরা।
এছাড়া গর্ভবতী মায়েদের জন্যও এটা বেশ ক্ষতিকর। গর্ভের সন্তানের ক্ষতি হতে পারে পরোক্ষ ধূমপানের কারণে। মিসক্যারেজের আশঙ্কা বেড়ে যায়, এমনকি সন্তান জন্ম দেয়ার পরও এই প্রভাব থেকে যেতে পারে।
শিশুর কম ওজন হওয়া, জন্মের সময় নানাবিধ সমস্যাসহ শিশু মৃত্যুর কারণও হতে পারে এই পরোক্ষ ধূমপান।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, সব ধরনের তামাক ক্ষতিকর এবং এর নিরাপদ কোন স্তর নেই।
সংস্থাটির মতে, সিগারেটের পরোক্ষ ধোঁয়ায় প্রায় ৭ হাজারেরও বেশি রাসায়নিক পদার্থ রয়েছে। যার মধ্যে অন্তত ৭০টি উপাদান ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তা অ্যাঙ্গেলা চিওবানু বলেছেন, “অধূমপায়ীরা যখন পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হচ্ছেন, তখন তাদের ফুসফুসের ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাচ্ছে ২০-৩০ শতাংশ”। এছাড়া হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও বাড়ায় পরোক্ষ ধূমপান।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব অনুযায়ী পরোক্ষ ধূমপানের কারণে প্রতি বছর ৬৫ হাজার শিশু মারা যায়। যে শিশুরা পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হচ্ছে, তারা বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে।
এমএম//