ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

ধূমপান বন্ধ করলে কমবে ৫০ ভাগ ক্যান্সার: ডা. গুভাগত চৌধুরী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:২০, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচার থিয়েটার ভবনে ক্যান্সার বিষয়ক বই প্রকাশনা অনুষ্ঠান

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচার থিয়েটার ভবনে ক্যান্সার বিষয়ক বই প্রকাশনা অনুষ্ঠান

বিশ্ব ক্যান্সার দিবস উপলক্ষে ৪২ জন ক্যান্সার আক্রান্তের ক্যান্সার-জার্নির অভিজ্ঞতা নিয়ে ‘এখানে থেমো না: ক্যান্সার লড়াকুদের বয়ান’ নামে বই প্রকাশ করেছে স্বেচ্ছাসেবামূলক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর ক্যান্সার কেয়ার ফাউন্ডেশন (সিসিসিএফ)।

শনিবার বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচার থিয়েটার ভবনের সিরাজুল ইসলাম লেকচার হলে বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ৪২ জনের লেখা সংকলিত বইটির পরিবেশক ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড (ইউপিএল)।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ক্যান্সারজয়ী লেখক ও চিকিৎসাবিজ্ঞানী অধ্যাপক ডা. গুভাগত চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের দেশে তরুণদের স্বাস্থ্য সমস্যা বেশি। রাস্তাঘাটে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া তরুণ-তরুণীদের ধূমপান করতে দেখা যায়। শুধু ধূমপান কমালে ৫০ শতাংশ ক্যান্সার কমে যাবে। এ ছাড়া মদ্যপান, অতিরিক্ত ফাস্টফুড খাওয়া কমাতে হবে। বর্তমানে স্থুলতা ও ফাস্টফুডের জন্য শিশুদেরও ডায়াবেটিক হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে ক্যান্সারের কোনো নিবন্ধীকরণ করা হয় না। কতজন আক্রান্ত— এটার সঠিক সংখ্যা কেউ বলতে পারে না। আমাদের এখানে ক্যান্সার স্ক্রিনিং নেই। ফলে ক্যান্সার হওয়ার প্রথম স্টেজে সেটি শনাক্ত করা যায় না। আগেভাগে জানা গেলে ক্যান্সার ৯০ শতাংশ নিরাময় করা সম্ভব।’

সভাপ্রধানের বক্তব্যে অধ্যাপক কর্নেল (অব:) ডা. খালেদা শাহ্ বলেন, ‘ঠিক ওইভাবে পরিসংখ্যান না থাকলেও আমাদের দেশে প্রতিবছর ১ লক্ষ ৫০ হাজার নতুন রোগী ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়। এরমধ্যে ৬০ হাজার চিকিৎসা নেয়, বাকিরা নানা কারণে পায় না।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের বেসিক সমস্যা হলো, সচেতনতার অভাব। সব ক্যান্সারেরই চিকিৎসা আছে। আগেই শনাক্ত করা হলে চিকিৎসা সহজ। পরে বিষয়টি কঠিন হয়ে যায়।’

সভায় আলোচকরা বলেন, ‘‘দেশে সবার জন্য সুলভ খরচে আধুনিক ক্যান্সার চিকিৎসা সেবা ব্যবস্থা গড়ে তোলা সময়ের দাবি। সেই সঙ্গে চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে সমাজের সবার অংশ গ্রহণে একটি ‘জাতীয় ক্যান্সার তহবিল’ গঠন করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে।’’

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরের ট্রাস্টি ক্যান্সার লড়াকু ডা. সারওয়ার আলী, ডাকসুর সাবেক ভিপি অধ্যাপক মাহফুজা খানম, রোকেয়া পদকজয়ী জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. হালিদা হানুম, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. এস এম শহীদুল্লাহ, কথা সাহিত্যিক অদিতি ফাল্গুনী প্রমুখ। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কবি হাসান ফকরী ও পরিচালক মসিহউদ্দিন শাকের। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সিসিসিএফের সাধারণ সম্পাদক জাহান ই গুলশান।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি