ধৈর্য ধারণ কেন জরুরি?
প্রকাশিত : ১৯:৫০, ২৯ জানুয়ারি ২০২৩
মানুষের জীবনে 'সবর' বা ধৈর্যধারণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। দুনিয়া ও পরকালে সবরের নিয়ামতও অনেক বেশি। তাই জীবনে বিপদ-মুসিবত নেমে এলে অস্থিরতা প্রকাশ না করে ধৈর্যধারণ করাই উত্তম। আর তাতে আল্লাহর কাছে পাওয়া যাবে অনেক প্রতিদান।
ধৈর্যের পরিণতি প্রশংসনীয়। আমাদের জানা প্রয়োজন আল্লাহ তা'আলা মু'মিনকে উদ্দেশ্য করে কুরআনে কীভাবে বলেছেন:
"হে মু'মিনগণ! তোমরা ধৈর্য্য ও সলাতের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ তা'আলা ধৈর্য্যশীলদের সঙ্গে রয়েছেন।" (সুরা বাকারা: আয়াত ১৫৩)
"ধৈর্য্যর সঙ্গে সাহায্য প্রার্থনা কর সলাতের মাধ্যমে। অবশ্য তা যথেষ্ট কঠিন। কিন্তু সেই সব বিনয়ী লোকদের পক্ষেই তা কেবল সম্ভব।" (সূরা আল বাকারা, আয়াত: ৪৫)
"এরাই হলো সেই সব লোক, যারা হিদায়েতের বিনিময়ে গোমরাহী কিনে নিয়েছে এবং (খরিদ করেছে) ক্ষমা ও অনুগ্রহের বিনিময়ে আযাব। অতএব, তারা দোযখের ওপর কেমন ধৈর্য্য ধারণকারী।" (সূরা আল বাকারা, আয়াত: ১৭৫)
"সৎকর্ম শুধু এই নয় যে, পূর্ব কিংবা পশ্চিমদিকে মুখ করবে, বরং বড় সৎকাজ হলো- ঈমান আনবে আল্লাহর ওপর, কিয়ামত দিবসের ওপর, ফেরেশতাদের ওপর এবং সমস্ত নবী-রসূলগণের ওপর, আর সম্পদ ব্যয় করবে তারই মহব্বতে আত্মীয়-স্বজন, এতীম-মিসকীন, মুসাফির-ভিক্ষুক ও মুক্তিকামী ক্রীতদাসদের জন্যে। আর যারা সলাত প্রতিষ্ঠা করে, যাকাত দান করে এবং যারা কৃত প্রতিজ্ঞা সম্পাদনকারী এবং অভাবে, রোগে-শোকে ও যুদ্ধের সময় ধৈর্য্যধারণকারী তারাই হল সত্যাশ্রয়ী, আর তারাই পরহেযগার।" (সূরা আল বাকারা, আয়াত: ১৭৭)
"তোমাদের নিরর্থক শপথের জন্য আল্লাহ তোমাদেরকে ধরবেন না, কিন্তু সেসব কসমের ব্যাপারে ধরবেন, তোমাদের মন যার প্রতিজ্ঞা করেছে। আর আল্লাহ হচ্ছেন ক্ষমাকারী, ধৈর্য্যশীল।" (সূরা আল বাকারা, আয়াত: ২২৫)
"তারা ধৈর্য্যধারণকারী, সত্যবাদী, নির্দেশ সম্পাদনকারী, সৎপথে ব্যয়কারী এবং শেষ রাতে ক্ষমা প্রার্থনাকারী।" (সুরা আল-ই ইমরান, আয়াত: ১৭)
"তোমাদের কি ধারণা, তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করবে? অথচ আল্লাহ এখনও দেখেননি তোমাদের মধ্যে কারা জেহাদ করেছে এবং কারা ধৈর্য্যশীল।" (সূরা আল-ই ইমরান, আয়াত: ১৪২)
"হে ঈমানদানগণ! ধৈর্য্যধারণ কর এবং মোকাবেলায় দৃঢ়তা অবলম্বন কর। আর আল্লাহকে ভয় করতে থাকো, যাতে তোমরা তোমাদের উদ্দেশ্য লাভে সমর্থ হতে পার।" (সূরা আল-ই ইমরান, আয়াত: ২০০)
"আর তোমরা ধৈর্য্যধারণ কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ তা'আলা ধৈর্য্যশীলদের সাথেই রয়েছেন।" (সূরা আল আনফাল, আয়াত: ৪৬)
"তবে যারা ধৈর্য্যধারণ করেছে এবং সৎকর্ম করেছে, তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও বিরাট প্রতিদান।" (সূরা হুদ, আয়াত: ১১)
"আর ধৈর্য্যধারণ কর, নিশ্চয়ই আল্লাহ পূণ্যবানদের প্রতিদান বিনষ্ট করেন না।" (সূরা হুদ, আয়াত: ১১৫)
"সুতরাং এরা যা বলে সে বিষয়ে ধৈর্য্যধারণ করুন এবং আপনার পালনকর্তার প্রশংসা পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করুন সূর্যোদয়ের পূর্বে, সূর্যাস্তের পূর্বে এবং পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করুন রাতের কিছু অংশে ও দিবাভাগে, সম্ভবতঃ তাতে আপনি সন্তুষ্ট হবেন।" (সূরা ত্বহা, আয়াত: ১৩০)
"অতএব, তোমাদের রব তো একমাত্র আল্লাহ। সুতরাং তারই আজ্ঞাধীন থাকো এবং বিনয়ীগণকে সুসংবাদ দাও, যাদের অন্তর আল্লাহর নাম স্মরণ করা হলে ভীত হয় এবং যারা তাদের বিপদাপদে ধৈর্য্যধারণ করে এবং যারা সলাত কায়েম করে ও আমি যা দিয়েছি, তা থেকে ব্যয় করে।"
(সূরা আল হাজ্জ্ব, আয়াত: ৩৪, ৩৫)
এনএস//